বেজিং: ১৯৬৩ সালে ভুল করে সীমান্ত পেরিয়ে ভারতে ঢুকে পড়ার অপরাধে গ্রেফতার হয়েছিলেন চিনের সেনা জওয়ান ওয়াং কি। কয়েক বছর কারাবাসের পর মুক্তি পেয়ে তিনি ভারতেই আছেন। এতদিন পরে তাঁকে দেশে ফেরানোর উদ্যোগ নিল চিন।

চিনের বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র লু কাং বলেছেন, ‘ওয়াং কি-র সঙ্গে যা হয়েছে, তার জন্য আমরা সমব্যথী। তাঁকে আমরা সাহায্য করব। তাঁর ইচ্ছাকে মর্যাদা দিয়ে ভারতের সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে সমস্যার সমাধানের চেষ্টা করছি।’

ভারত-চিন যুদ্ধের কয়েক সপ্তাহ পরেই ভুল করে সীমান্ত পেরিয়ে এদেশে চলে আসেন ওয়াং। গ্রেফতার হওয়ার পর বেশ কয়েকটি জেলে কাটাতে হয় তাঁকে। ১৯৬৯ সালে আদালতের নির্দেশে মুক্তি পান তিনি। এরপর পুলিশ তাঁকে নিয়ে যায় মধ্যপ্রদেশের একটি প্রত্যন্ত গ্রাম তিরোদিতে। সেই থেকে ওই গ্রামেই আছেন ওয়াং। ৭৭ বছর বয়সি এই প্রাক্তন চিনা সেনা জওয়ান এখন দেশে গিয়ে তিন ভাই ও দু বোনের সঙ্গে দেখা করতে চাইছেন। এ বিষয়ে নয়াদিল্লি ও বেজিংয়ের অনুমতি চাইছেন ওয়াং।

মধ্যপ্রদেশের ওই গ্রামে স্থানীয় এক মহিলাকে বিয়ে করেন ওয়াং। তাঁর তিন সন্তানও আছেন। পরিবারের আশঙ্কা, চিনে গেলে হয়তো আর ভারতে ফিরতে পারবেন না ওয়াং। সেই কারণেই তাঁরা উদ্বিগ্ন।

বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র বিকাশ স্বরূপ বলেছেন, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের সঙ্গে ওয়াংয়ের বিষয়ে তাঁরা আলোচনা করছেন। কীভাবে এই সমস্যার সমাধান করা যায়, সেই চেষ্টা করা হচ্ছে।

চিনের সংবাদমাধ্যমের দাবি, যুদ্ধাপরাধী হন বা না হন, এই বৃদ্ধকে দীর্ঘদিন তাঁর পরিবারের থেকে বিচ্ছিন্ন করে রাখা অমানবিক। এ বিষয়ে ভারতীয় প্রশাসনের নজর দেওয়া উচিত। ওয়াংয়ের সমস্যাটি ভালভাবে সমাধান করা গেলে দু দেশের মানুষের বোঝাপড়া বাড়বে এবং কূটনৈতিক সম্পর্কেরও উন্নতি হবে।