পৃথিবীর প্রবীণতম জীবিত পুরুষ হিসাবে গিনেস বুক অফ ওয়র্ল্ড রেকর্ডসে নাম তুলেছেন ওয়াতানাবে। বুধবার তাঁকে শংসাপত্র দিয়েছে গিনেস বুক অফ ওয়র্ল্ড রেকর্ডস সংস্থা। জাপানের নিগাতার বাসিন্দা ওয়াতানাবের জন্ম ১৯০৭ সালের ৫ মার্চ।
দীর্ঘজীবনের রহস্য কী? একটি সাক্ষাৎকারে ওয়াতানাবে বলেছিলেন, ‘আমি কখনও রাগ করি না। সবসময় হাসি।’ খাওয়াদাওয়ায় বিশেষ কিছু নিয়ন্ত্রণ করেন না। মিষ্টি, কাস্টার্ড খেতে ভালবাসেন। তবে দাঁত পড়ে যাওয়ায় ক্রিম জাতীয় খাবারই এখন বেশি খান। প্রথম জীবনে একটি চিনিকলে চাকরি করতেন। পরে জাপান সরকারের কৃষি দফতরে চাকরি। সেখান থেকেই অবসর। জানা গিয়েছে, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ শেষের দিকে ওয়াতানাবে সেনাবাহিনীতেও ছিলেন কিছুদিন।
ওয়াতানাবের ৫ সন্তান। বাগান পরিচর্যা করতে ভালবাসেন। নিজের ১০৪ বছর বয়স পর্যন্ত গাছপালার পরিচর্যা করেছেন। সব্জি ফলিয়েছেন। ২০০৭ সাল পর্যন্ত বনসাই পরিচর্যা করেছেন।
প্রসঙ্গত, বিশ্বের প্রবীণতম মানুষও জাপানের। তিনি মহিলা। নাম কেন তানাকা। গত জানুয়ারিতে ১১৭ বছর সম্পূর্ণ করেছেন তিনি। গিনেস বুক অফ ওয়র্ল্ড রেকর্ডসে নাম রয়েছে তাঁরও।