নয়াদিল্লি:  মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের টুইটার অ্যাকাউন্ট ইচ্ছাকৃতভাবে ডি অ্যাক্টিভেট করে দিলেন টুইটারের এক কর্মী। প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবারই ছিল সেই কর্মীর টুইটারে তাঁর চাকরির শেষ দিন। টুইটারের তরফে জানানো হয়েছে, তাঁদের কাস্টমার সাপোর্টের এক কর্মী তাঁর সংস্থায় চাকরির শেষ দিনে এই কাজটি করে যান। তবে কোন কর্মী এই কাণ্ডটি করেছেন, সেপ্রসঙ্গে টুইটারের পক্ষ থেকে কোনও মন্তব্য করা হয়নি। এই ঘটনার ফলে ট্রাম্পের টুইটার অ্যাকাউন্ট ১১ মিনিটের জন্যে ডাউন ছিল।

স্ট্যান্ডার্ট টাইম অনুযায়ী বৃহস্পতিবার রাত এগারোটার সময় যখনই কেউ ট্রাম্পের টুইটার অ্যাকাউন্টে গিয়েছেন, একটি মেসেজ দেখেছেন। 'স্যরি দ্যট পেজ ডাস নট এক্সিস্ট'। এরপর চারিদিকে জল্পনা শুরু হয়, প্রেসিডেন্টের টুইটার পেজটিতে এই বার্তা কেন দেখাচ্ছে। তারপর টুইটারের পক্ষ থেকে এক বিবৃতি দিয়ে জানানো হয়, এক কর্মীর ভুলের জন্যে সাময়িক সময়ের জন্যে বন্ধ হয়ে গিয়েছিল অ্যাকাউন্টটি। পরে অবশ্য সত্যিটা সামনে আসে। এগারো মিনিট ডাউন থাকার পর ফের সচল হয় ট্রাম্পের অ্যাকাউন্ট। তবে এধরনের কাণ্ড ভবিষ্যতে যাতে না ঘটে, সেবিষয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানানো হয় সংস্থার তরফে।

প্রসঙ্গত, উত্তর কোরিয়াকে ক্রমাগত যখন হুমকি দিচ্ছিলেন ট্রাম্প, তখন হামেশাই টুইটারের কাছে অনুরোধ আসত, ট্রাম্পের অ্যাকাউন্টই বন্ধ করে দেওয়ার জন্যে। যখন টুইটারের তরফেই সেটা করা হয়, তখন প্রথমেই মনে হয়, তাহলে কি সেই আর্জিতে সম্মতি জানিয়ে অ্যাকাউন্টটি সাসপেন্ড করা হয়েছে। টুইটারের তরফে বিবৃতি প্রকাশের আগে অনেকেই ভেবেছিলেন ট্রাম্প হয়তো নিজের অ্যাকাউন্ট ডি অ্যাক্টিভেট করে দিয়েছেন, বা কেউ হ্যাক করেছেন।

তবে এর আগে টুইটার বেশ কয়েকজন হাইপ্রোফাইল ব্যক্তির অ্যাকাউন্ট ডি অ্যাক্টিভেট করেছে। তবে এবারের বিষয়টি অন্যরকম। ট্রাম্প যদিও সোশ্যাল মিডিয়ার এই মাধ্যমকে নিজের মতপ্রকাশের জন্যে খুব পছন্দ করেন। এইমুহূর্তে তাঁর ৪০ মিলিয়ন ফলওয়ার রয়েছে।