লাহোর: ভারতের সঙ্গে সুসম্পর্ক স্থাপন, সন্ত্রাস দমনে ব্যবস্থা গ্রহণে ইমরান খানের সদিচ্ছা নিয়ে সংশয় তুলে দিল একটি ফাঁস হওয়া ভিডিও। তাতে দেখা যাচ্ছে, পাক প্রধানমন্ত্রীর অধীনস্থ অভ্যন্তরীণ প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আফ্রিদি মিল্লি মুসলিম লিগের (এমএমএল) নেতাদের সঙ্গে কথা বলছেন, ২০০৮ এর মুম্বই জঙ্গি হামলার পান্ডা হাফিজ সঈদকে রক্ষা করার অভয় দিচ্ছেন।
প্রসঙ্গত, এমএমএল সঈদেরই দল। ভিডিওতে প্রকাশ, আফ্রিদির দৃষ্টি আকর্ষণ করে যখন বলা হয়, আমেরিকার চাপে পাক নির্বাচন কমিশন সঈদের পার্টির রাজনৈতিক স্বীকৃতি বাতিল করেছে, পাকিস্তান সরকারও তাকে সন্ত্রাসবাদী দল ঘোষণার ভাবনাচিন্তা করছে, তিনি বলেন, আমরা তা হতে দেব না। যতদিন পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফের সরকার আছে, হাফিজ সঈদ সমেত যারা পাকিস্তান ও ন্যয়ের পক্ষে সরব, তাদের পাশেই থাকব আমরা। এটা আমাদের বিশ্বাস। আপনাদের অনুরোধ করব, ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলিতে এসেই দেখুন না যারা সঠিক পথে রয়েছে, আমরা তাদের সঙ্গে আছি না নেই।
সঈদকে ২০০৮ এর মুম্বই হামলার পরই আমেরিকা, রাষ্ট্রপুঞ্জ বিশ্ব সন্ত্রাসবাদী বলে ঘোষণা করে, সে বছরের নভেম্বরে তাঁকে গৃহবন্দি করা হয়। যদিও কয়েক মাস বাদেই আদালতের নির্দেশে তিনি মুক্তি পান। সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপে হাত থাকায় ১০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার মাথার দাম ঘোষণা হয় তার।
শুধু লস্কর-ই-তৈবা প্রতিষ্ঠাতার গ্রেফতার, বিচারই নয়, পাকিস্তান মুম্বই হামলায় জড়িত সবাইকে সাজা দিক, এই দাবি করছে ভারত।
ভিডিওতে এক এমএমএল নেতাকে বলতে শোনা গিয়েছে, হাইকোর্ট এমএমএল-কে রাজনৈতিক দল হিসাবে নথিভুক্ত করতে নির্দেশ দিলেও পাক নির্বাচন কমিশন বলেছে, তারা জেনেছে, আমেরিকা ইতিমধ্যেই এমএমএল-কে সন্ত্রাসবাদী সংগঠন বলে ঘোষণা করেছে। তখনই সেই মন্ত্রী আশ্বাস দেন, ইমরান খানের সরকারের জমানায় এটা হবে না। পাক অভ্যন্তরীণ মন্ত্রক লিখিত ভাবে নির্বাচন কমিশনকে জানায়, এমএমএল সঈদের জামাত-উদ-দাওয়ারই অংশ। তাদের যেন নথিভুক্ত করা না হয়।
প্রসঙ্গত, ২০১৭-র আগস্টে ১৯৭৩ এর সংবিধান অনুসারে পাকিস্তানের আদর্শ রূপায়ণের লক্ষ্য সামনে রেখে এমএমএল তৈরি করে সঈদ। এপ্রিলে লস্করের সঙ্গে সংশ্রবের জন্য বিদেশি সন্ত্রাসবাদী সংগঠনের তালিকায় এমএমএল-কে রাখে আমেরিকা।