লন্ডন: জামিন পেলেন ভারতে বিভিন্ন ব্যাঙ্ক থেকে প্রায় ৯ হাজার কোটি টাকা নেওয়া ঋণ পরিশোধ না করে চুপিসাড়ে ব্রিটেনে চলে যাওয়া বিজয় মাল্য। দীর্ঘদিন ধরে সেখানেই তিনি রয়েছেন বহাল তবিয়তে।

মঙ্গলবার তিনি হাজির হন ওয়েস্টমিনস্টার ম্যাজিস্ট্রটের আদালতে, তাঁকে প্রত্যর্পণের দাবিতে পেশ হওয়া পর পিটিশনের শুনানিতে। ৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত তাঁকে জামিন মঞ্জুর করেন চিফ ম্যাজিস্ট্রেট এম্মা লুইস আরবার্থনট। জামিন পাওয়ার আগে মাল্য বলেন, কোনও আদালতকে এড়িয়ে যাইনি। নিজেকে নির্দোষ প্রমাণের জন্য যথেষ্ট নথি, প্রমাণ আছে আমার হাতে।

পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য হয়েছে ৬ জুলাই। সরকারপক্ষকে তাঁর বিরুদ্ধে তোলা জালিয়াতির অভিযোগ প্রমাণ করার চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিয়েছেন ৬১ বছরের মাল্য, যিনি নিজের অধুনালুপ্ত কিংফিশার এয়ারলাইন্সের জন্য বিপুল পরিমাণ ব্যাঙ্কঋণ নিয়ে মিটিয়ে দেননি বলে অভিযোগ।

এদিন তিনি বলেন, আমার বিরুদ্ধে ওঠা যাবতীয় অভিযোগ খারিজ করছি, ভবিষ্যতেও করব। আমি যা বলি, তাকেই বিকৃত করা হয়। তাই মিডিয়াকে কিছু বলি না। কিন্তু পর্যাপ্ত তথ্যপ্রমাণ আছে, সেগুলিই বলবে।

তিনি ব্য়াঙ্কঋণ অন্য খাতে খরচ করেছেন, এই দাবিও উড়িয়ে দেন তিনি। বলেন, আপনি ১০০ কোটি পাউন্ডের স্বপ্ন দেখতেই পারেন। কিন্তু প্রমাণ, তথ্য ছাড়া কিছুই প্রমাণ করতে পারবেন না।

কয়েকদিন আগেই ভারত-দক্ষিণ আফ্রিকার চ্যাম্পিয়নস ট্রফির ম্যাচ দেখতে মাঠে হাজির হলে তাঁকে চোর, চোর বিদ্রূপ শুনতে হয়। মাল্যর দাবি, কিছু মাতাল তাঁকে কটূক্তি করে। ক্ষুব্ধ মালিয়া বলেন, ভারতকে ক্রিকেট ম্যাচে উত্সাহ দিতে মাঠে গেলে মিডিয়া ঝাঁপিয়ে পড়ে। তাই কিছু না বলাই ভাল! পরের শুনানির দিন মিডিয়াকে আদালতে হাজির থাকতে না দেওয়ার আবেদন করেন।

গত সপ্তাহে বিরাট কোহলিদের পার্টিতেও গিয়েছিলেন তিনি। তাঁকে দেখে বিতর্ক এড়াতে পার্টি ছেড়ে বেরিয়ে যান ভারতীয় ক্রিকেটাররা।

২০১৬-র মার্চ থেকে ব্রিটেনে রয়েছেন মাল্য। তাঁর বিরুদ্ধে জারি হওয়া প্রত্যর্পণের ওয়ারেন্ট কার্যকর করে তাঁকে গ্রেফতার করে স্কটল্য়ান্ড ইয়ার্ড। কিন্তু কয়েক ঘন্টার মধ্যেই সাড়ে ৬ লক্ষ পাউন্ড মূল্যের জামিন বন্ড পেশ করে শর্তসাপেক্ষে জামিন পান। তবে তাঁকে প্রতিশ্রুুতি দিতে হয়, প্রত্যর্পণ প্রক্রিয়ার যাবতীয় শর্ত মানবেন। যেমন, পাসপোর্ট জমা দিতে হবে, তাঁর কাছে কোনওরকম ভ্রমণসংক্রান্ত নথি থাকবে না।