মিউনিখ: জার্মানির মিখনিখ শহরে রেলস্টেশনে আচমকা গুলি চলল মঙ্গলবার। জখম হয়েছেন অনেকে। মিউনিখের এক মহিলা পুলিশ অফিসারও মারাত্মক আহত হয়েছেন বলে খবর।

বাভারিয়ার এই শহরের উত্তরপূর্ব এলাকা উন্তারফোয়েরিং-এর এস-বাহন স্টেশনটি অবশ্য এখন 'সুরক্ষিত' বলে জানিয়েছে পুলিশ। মার্কাস দা গ্লোরিয়া মার্টিনস নামে মিউনিখ পুলিশের মুখপাত্র গুলিচালনার পিছনে কোনও রাজনৈতিক বা ধর্মীয় কারণ থাকার ইঙ্গিত নেই বলে জানিয়েছেন। ব্যক্তিগত কারণেই হামলা করে থাকতে পারে পুরুষ হামলাকারী।

মার্টিন জানান, অজ্ঞাতপরিচয় লোকটি চলন্ত ট্রেনের সামনে এক পুলিশ অফিসারকে ঠেলে ফেলে দেওয়ার চেষ্টা করে। হাতাহাতি, ধাক্কাধাক্কির মধ্যেই এক মহিলা অফিসারের হাতের বন্দুক কেড়ে নিয়ে গুলি চালায় সে। তিনি মারাত্মক চোট পান মাথায় গুলি লেগে। গুলিতে আঘাত পান আরও দুজন। তবে তাদের জীবন সংশয় হয়নি। চিকিত্সা চলছে স্থানীয় হাসপাতালে।

পুলিশ ট্যুইটে বলেছে, হামলাকারী ধরা পড়েছে। সেও জখম হয়েছে। আরও হামলাকারী থাকার কোনও ইঙ্গিত নেই। শহরতলির স্টেশন এলাকা কর্ডন করে রাখা হয়েছে।
গত জুলাইয়ে মিউনিখের এক শপিং মলে গুলিতে ৯ জনকে ঝাঁঝরা করে নিজেও গুলি চালিয়ে আত্মঘাতী হয় ডেভিড আলি সোনোবোলি নামে ১৮ বছরের এক ছেলে। সে নাকি এক বছর ধরে হামলার ছক কষেছিল।

পুলিশ জানায়, জার্মান-ইরান পরিবারের ছেলেটি শুধু উগ্র ডানপন্থী ঘাতক অ্যান্ডার্স বেহরিং ব্রেভিকের মতো গণহত্যাকারীদের কথাই সবসময় ভাবত। ইসলামিক স্টেটের সঙ্গে কোনও যোগ ছিল না তার।

মার্চেও ডুসেলডর্ফের এক রেলস্টেশনে কুঠার হাতে চড়াও হয়ে ৯ জনকে ঘায়েল করে এক হামলাকারী। পুলিশ সন্ত্রাসবাদী হামলা বলেনি ঘটনাটিকে। তারা জানিয়েছিল, ৩৬ বছরের কসোভোর লোকটি স্কিজোফ্রেনিয়ায় ভুগছিল, চরম উদ্বেগে আক্রান্ত ছিল সে।