লন্ডন: গতকাল ভারত সরকার তাঁর বহিষ্কার চেয়ে ব্রিটেনকে চিঠি দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে বিজয় মাল্য জানিয়ে দিলেন, খুব শীগগিরই তাঁর সে দেশ ছাড়ার কোনও পরিকল্পনা নেই। গত সপ্তাহে বাতিল করা হয়েছে মাল্যর কূটনৈতিক পাসপোর্ট। তাঁর বিরুদ্ধে জারি হয়েছে জামিন-অযোগ্য গ্রেফতারি পরোয়ানাও। মাল্যর বক্তব্য, নিজের অচল হয়ে পড়া বিমান সংস্থাকে ঋণ দেওয়া ব্যাঙ্কগুলির সঙ্গে যুক্তিসঙ্গত মীমাংসাই চান। কিন্তু তাঁর পাসপোর্ট বাতিল বা তাঁকে গ্রেফতার করে কিন্তু ‘কোনও টাকাই পাওয়া যাবে না’!


কিংফিশার-কর্তা তথা লিকার ব্যারন মাল্যর মধ্য লন্ডনের মেফেয়ারে নেওয়া একটি সাক্ষাত্কার ছেপেছে ‘দি ফিনান্সিয়াল টাইমস’। তাতেই এ কথা বলেছেন তিনি। মাল্য বলেছেন, ‘নিশ্চয়ই ভারতে ফিরতে চাই। কিন্তু এই মূহূর্তে দ্রুত আমার বিরুদ্ধেই ঘটছে সব কিছু। আমার পাসপোর্ট বাতিল হয়েছে। জানি না, এরপর সরকার কী করতে চলেছে।’ তিনি ‘নির্বাসনে যেতে বাধ্য হয়েছেন’ বলে মন্তব্য করেছেন মাল্য।

নিজেকে দেশপ্রেমিক ভারতীয় বলে ঘোষণা করে ৬০ বছর বয়সি শিল্পপতি বলেছেন, তিনি ‘ভারতের পতাকা তুলতে গর্ববোধ করেন।’ কিন্তু তাঁকে ঘিরে যে শোরগোল, আলোড়ন চলছে, তাতে তিনি ব্রিটেনে থেকে যেতে পারলেই খুশি হবেন। এখনই সেখান থেকে নড়তে চাইছেন না। মাল্যর কথায়, ‘ভারতের এখনকার পরিস্থিতিটা বোঝা জরুরি। ইলেকট্রনিক মিডিয়া শুধু জনমত নয়, সরকারকেও বিরাট ভাবে প্রভাবিত করছে।’

প্রসঙ্গত, মাল্যর কাছ থেকে কিংফিশার এয়ারলাইন্স এয়ারলাইন্স লিমিটেডের জন্য নেওয়া প্রায় ৯ হাজার কোটি টাকা অনাদায়ী ঋণ ফেরত পাওয়ার ব্যাপারে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কগুলির জোট সুপ্রিম কোর্টে যেতেই ২ মার্চ দিল্লি থেকে লন্ডন চলে যান তিনি। মাল্যর দাবি, কিংফিশারের নাম করে নেওয়া ঋণের টাকা সরানো, সম্পত্তি কেনা বা এ জাতীয় যত অবাস্তব অভিযোগ তাঁর বিরুদ্ধে তোলা হচ্ছে, তিনি সেগুলির একটিতেও দায়ী নন।

মাল্য প্রস্তাব দিয়েছেন, ‘সরকার চাইলে বিশ্বের ফরেনসিক হিসাব পরীক্ষককে নিয়োগ করে কিংফিশারের হিসাবপত্র খতিয়ে দেখুক, কীভাবে ব্যাঙ্ক লোনের টাকা খরচ করা হয়েছে।’ আমি নিশ্চিত, এমন কিছুই তারা পাবে না, কেননা তেমনই কিছুই নেই, সত্য এটাই, বলেন তিনি।

একইসঙ্গে বলেন, এত সব সত্ত্বেও তিনি ঋণদাতা ব্যাঙ্কগুলির সঙ্গে রফা করতেই আগ্রহী।