বেজিং :  ২০ জন শিশুর মাথায় হাতুড়ি জাতীয় অস্ত্র দিয়ে আঘাত করলেন বিদ্যালয়ের একজন প্রাক্তন শিক্ষক। ঘটনাটি ঘটে বেজিং-এর শিচেং জেলার একটি নামজাদা প্রাথমিক বিদ্যালয়ে। সূত্রের খবর, নিজের পরীক্ষায় পাশ না করার জন্য হতাশায় ভুগছিলেন ওই ব্যক্তি।

অভিভাবকেরা জানান, শিশুদের শারীরিক অনুশীলন করার সময় কাছেই দাঁড়িয়ে ছিলেন ওই প্রাক্তন শিক্ষক। সেই সময়ই হাতুড়ি জাতীয় অস্ত্র দিয়ে পরপর ২০ জন শিশুর মাথায় আঘাত করেন তিনি। উপস্থিত শারীরিক অনুশীলনের শিক্ষক প্রাথমিকভাবে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনেন। শিশুদের মধ্যে ৩ জনের আঘাত বেশ গুরুতর, তবে পুলিশ জানিয়েছে আশঙ্কার কোনো কারণ নেই।

ঘটনার প্রতিবাদে বিদ্যালয়ে এসে বিক্ষোভ দেখান বেশ কয়েকজন অভিভাবক অভিভাবিকারা। প্রধান শিক্ষকের তরফ থেকে তাদের বার বার আবেদন করা হয় কোনো ছবি না তোলার জন্য। কিছু জায়গায় রিপোর্টে বলা হয়েছে ছুরি জাতীয় অস্ত্র দিয়ে শিশুদের আঘাত করা হয়। কিন্তু অভিভাবকেরা জানান হাতুড়ি জাতীয় অস্ত্র দিয়ে পরপর ২০ জন শিশুর মাথায় আঘাত করে হামলাকারী।

হামলার কথা মেনে নিয়ে বিদ্যালয়ের একজন শিক্ষক জানান, আঘাতের ঘটনাটি সত্যি হলেও ছুরি ব্যাবহার করে আঘাত করার অভিযোগ সম্পূর্ন মিথ্যা।

সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করে একজন  চিকিৎসক  জানান, শিশুদের চিকিৎসার সময় মেয়র নিজে হাসপাতালে এসেছিলেন এবং তিনি বেশ কিছুক্ষন সেখানে ছিলেন। হাসপাতাল সূত্রে জানানো হয়েছে পুলিশ বেজিং চিলড্রেন্স হাসপাতাল ও শুয়ানউ হাসপাতালে নিরাপত্তার জন্য বিশেষ ব্যবস্থা নিয়েছে। শিশুদের বিশেষ পরিষেবা দেবার জন্য হাসপাতালে বেশ কয়েকটি অস্ত্রোপচারও বাতিল করা হয়েছে।

শিশুদের ওপর আঘাতের ঘটনা চিনে এই প্রথম নয়। ২০১৭ সালে এক কৃষক ১২ জন শিশুকে ছুরি দিয়ে আঘাত করেন, এদের মধ্যে ৪ জনের আঘাত ছিল গুরুতর। সাধারণ মানুষ ও শিশুদের ওপর হতাশাগ্রস্থ মানুষের আঘাতের ঘটনার আরও উদাহরণ রয়েছে গোটা চীন জুড়ে।

শুক্রবার হামলাকারীকে ফাঁসি দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে সুপ্রিম পিপলস্ কোর্ট।