ঢাকা: যত সময় যাচ্ছে ততই বাড়ছে মৃতের সংখ্যা। উদ্ধার হচ্ছে একের পর এক মৃতদেহ। বাংলাদেশের নারায়ণগঞ্জ জেলায় সরবত তৈরির কারখানায় আগুন লাগার ঘটনায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে হল ৫২। গতকাল, বৃহস্পতিবারের পর এদিন ফের উদ্ধার কাজে করা হয় প্রশাসনের তরফে। প্রশাসন সূত্রে খবর, আজ আরও ৫টি দেহ উদ্ধার হয়েছে।


এখনও দেখা যাচ্ছে আগুনের লেলিহান শিখা। চারদিকে শুধু স্বজন হারানোর কান্না। কেউ হারিয়েছেন বাবাকে। কেউ বা সন্তান হারিয়ে শোকে বিহ্বল। বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যমকে দমকল ও সিভিল ডিফেন্সে ডেপুটি ডিরেক্টর দেবাশিস বর্ধন  জানিয়েছেন, আরও বেশ কয়েকজন আটকে থাকার আশঙ্কা রয়েছে। এখনও উদ্ধার কাজ চালিয়ে যাওয়া হচ্ছে। নারায়ণগঞ্জ দমকল বিভাগের ডেপুটি অ্যাসিসট্যান্ট ডিরেক্টর  আবদুল্লা আল আরেফিন জানান, মৃতদের দেহ ময়না তদন্তের জন্য ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।


গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেল পাঁচটায় নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জের কর্ণগোপ এলাকার হাসেম ফুড লিমিটেডের ছতলায় আগুন লাগার ঘটনা ঘটে। সরবত ছাড়াও, সফট ড্রিঙ্কস, বিভিন্ন ধরনের খাবার তৈরি হয় ওই কারাখানায়। এই অগ্নিকাণ্ডের পরই ৩ মহিলা কর্মীর মৃত্যুর খবর সামনে আসে। জানা গিয়েছে, আগুন লেগেছে বুঝতে পেরে তাঁরাই প্রথমে আগুন নেভাতে ছুটে গিয়েছিলেন। গতকাল পর্যন্ত কারখানার ৪৯ কর্মীর অগ্নিদগ্ধ দেহ উদ্ধার করা হয় বলে প্রশাসন সূত্রে খবর। এদিকে আজ, শুক্রবারও ওই কারখানার ৫ তলা এবং ৬ তলায় ফের আগুনের শিখা দেখা যায়।


প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রায় ২৪ ঘণ্টা পরেও এখনও পরিস্থিতির উন্নতি হয়নি। ইতিমধ্যে ভেঙে পড়েছে ওই কারখানার একাংশ। আগুন পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে না আসার কারণে ৫ তলা এবং ৬ তলায় তৎপরতার সঙ্গে উদ্ধার কাজ করা যাচ্ছে না। এখনও দেখা যাচ্ছে ধোঁয়া। জানলা সহ বিল্ডিং অ্যালুমিনিয়াম কাঠামো ভেঙে পড়েছে। যদিও অগ্নিকাণ্ডের ঘটনার হাসেম ফুড লিমিটেডের ওই কারখানা কতজন কর্মী ছিলেন তা অবশ্য এখনও জানাতে পারেনি কর্তৃপক্ষ।