প্রসঙ্গত, ভারতের পরমাণু সরবরাহকারী গোষ্ঠী (এনএসজি)-র সদস্য হওয়ার চেষ্টায় ইতিমধ্যে জল ঢেলে দিয়েছে চিন। পাশাপাশি পাকিস্তান অধিকৃত কাশ্মীরের মধ্য দিয়ে ৪৬০০ কোটি মার্কিন ডলার অর্থমূল্যের প্রস্তাবিত চিন-পাকিস্তান অর্থনৈতিক করিডর প্রকল্প এগিয়ে নিয়ে চলেছে বেজিং। ওই প্রকল্প ঘিরেও মতভেদ রয়েছে ভারত, চিনের। দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কে কাঁটা হয়ে রয়েছে এই দুটি বিষয়। এই প্রেক্ষাপটেই কাল জিনপিঙের সঙ্গে আলোচনা হবে মোদীর। চলতি মাসেই নয়াদিল্লি সফরে এসেছিলেন চিনের বিদেশমন্ত্রী ওয়াং ই। সে সময় বিদেশসচিব এস জয়শঙ্কর ও চিনা সহকারী বিদেশমন্ত্রীর যৌথ নেতৃত্বে মতপার্থক্য নিরসনের লক্ষ্যে একটি মেকানিজম তৈরি হয়।
এদিন চিনে পৌঁছেই মোদী ট্যুইট করেন, হ্যালো হ্যাংঝাউ। জি-২০ শীর্ষ বৈঠকে যোগ দিতে চিনে নামলেন প্রধানমন্ত্রী। সঙ্গে চিনা অফিসারদের সঙ্গে করমর্দনের ছবিও পোস্ট করেন তিনি।
বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র বিকাশ স্বরূপও প্রধানমন্ত্রীর চিনে পৌঁছনোর ব্যাপারে ট্যুইট করেন, সকালে হ্যানয়ে, রাতে হ্যাংঝাউয়ে।
গত তিন মাসেরও কম সময়ে এই নিয়ে দুবার বৈঠক হতে চলেছে মোদী ও জিনপিংয়ের। জুনে তাসখন্দে সাংহাই কো অপারেশন সামিটে (এসসিও)-র ফাঁকে কথা বলেছিলেন তাঁরা। পর্যবেক্ষক মহলের ধারণা, শুধু এনএসজি-তে ভারতের সদস্যপদ, চিন-পাক আর্থিক করিডরেই দুজনের আলোচনা আটকে থাকবে না হয়ত। দুজনের মধ্যে ব্যক্তিগত বোঝাপড়া চমত্কার। পাকিস্তানে ঘাঁটি গেড়ে বসা সন্ত্রাসবাদী গোষ্ঠীগুলিকে রাষ্ট্রসঙ্ঘের তালিকায় ফেলার প্রসঙ্গও বৈঠকে উঠতে পারে। এর আগে পাকিস্তানকে খুশি করতে সেখানকার মাটিতে বেড়ে ওঠা জয়েশ-ই-মহম্মদ প্রধান মাসুজ আজহারকে রাষ্ট্রসঙ্ঘের নিষিদ্ধ তালিকায় ফেলার উদ্যোগেও বাগড়া দিয়েছে বেজিং। সে প্রসঙ্গও আলোচনায় আসতে পারে।
ব্রাজিল, রাশিয়া, চিন, দক্ষিণ আফ্রিকার (ব্রিকস) গোষ্ঠীর নেতাদের বৈঠকও হওয়ার কথা মোদী-জিনপিং বৈঠকের পর। এছাড়া, মোদী দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে বসবেন অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী ম্যালকম টার্নবুল, সৌদি আরবের ডেপুটি ক্রাউন প্রিন্স মহম্মদ বিন সলমনের সঙ্গেও। মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামাও জি-২০ বৈঠকে থাকছেন। তবে তাঁর সঙ্গে মোদীর আলাদা ভাবে বৈঠকের সম্ভাবনা এখনও পর্যন্ত নেই বলেই শোনা যাচ্ছে।