জেমি জোনস নামের ওই মহিলার বিরুদ্ধে কার্ল রাইস জুনিয়রকে খুনের অভিযোগ আনা হয়েছে। স্টেট অ্যাটর্নি স্টিভ স্কেলার লেক কাউন্টি বিচারককে জানিয়েছেন, ময়নাতদন্ত রিপোর্টে কার্ল রাইসের মাথা থেকে পা পর্যন্ত সমস্ত জায়গায় আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গিয়েছে। এমনকি মারের জেরে বাচ্চা ছেলেটির মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ পর্যন্ত হচ্ছিল। ওই অ্যাটর্নিই বিচারককে বলেন, এটি একটি নৃশংস ও জঘন্যতম অপরাধ। নিজের সন্তানকে পিটিয়ে মেরে ফেলেছেন মা। এমনকি জুনের ৩০ তারিখ যখন মারধরের ঘটনাটি ঘটে, তার আগে ঘুমিয়ে পড়েছিল নিষ্পাপ শিশুটি। কিন্তু ঘুমের মধ্যেই ছেলেকে মারতে শুরু করেন মা। বাচ্চাটির ৩০ জুন থেকে পয়লা জুলাইয়ের মধ্যে কোনও একসময় মৃত্যু হয়েছে।
রাউন্ড লেক বিচ মেট্রা স্টেশন থেকে উদ্ধার হওয়া ভিডিও ফুটেজে দেখা গিয়েছে ছেলের মৃত দেহ কোলে নিয়ে পয়লা জুলাই শিকাগোগামী ট্রেনে উঠছেন ওই মহিলা। সেদিন মহিলার সঙ্গে ছিলেন তাঁর ন বছরের মেয়েও। মৃত ছেলেকে ট্রেনের কর্নার সিটে বসানোও মহিলা। এমনকি একটি ব্যাকপ্যাকের সাহায্যে মৃত ছেলেকে সোজা করে বসানোও হয়।
শিকাগোর ইউনিয়ন স্টেশন থেকে উদ্ধার হওয়া ভিডিও ফুটেজে দেখা গিয়েছে ছেলেকে সেদিন এমনভাবে কোলে নিয়ে হাঁটছিলেন মা, যেন সে ঘুমোচ্ছে। তারপর সেখান থেকে একটি গাড়িতে ওঠেন মহিলা। গাড়িটি চালাচ্ছিলেন মহিলার বাবা। সেসময়ই আচমকা পরিবারের সদস্যরা বুঝতে পারেন, বাচ্চাটি নিঃশ্বাস নিচ্ছে না। তখনই তাঁরা প্যারামেডিকস ডাকেন। তাঁরাই এসে বলেন, ছেলেটির মৃত্যু হয়েছে। কুক কাউন্টি মেডিক্যাল এক্সামিনার ছেলেটির দেহ পরীক্ষা করে বলে দেন, বেধড়ক মারে জখম হয়ে মৃত্যু হয়েছে ছেলেটির।
ছেলেটির মা শুধু তদন্তের প্রাথমিক পর্যায়ে পুলিশকে জানিয়েছিলেন, ছেলেকে তিনি একাধিকবার মেরেছিলেন মৃত্যুর আগে। চার মাস তদন্ত চলার পর শনিবার মহিলাকে গ্রেফতার করা হয়। এখন মায়ের বিরুদ্ধে ছেলেকে খুনের মামলা রুজু হয়েছে।