ওয়াশিংটন: চাঁদ, মঙ্গল, শনি.... এখন অতীত। এবার সূর্যের দিকে হাত বাড়াল নাসা।


খবরে প্রকাশ, আগামী বছরই বিশ্বের প্রথম সূর্য-অভিযানে নামতে চলেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ গবেষণা সংস্থাটি। জানা গিয়েছে, ওই দুঃসাহসিক অভিযানে সূর্যের বায়ুমণ্ডলের পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালানো হবে।


নাসা জানিয়েছে, গত ছ’দশক ধরে সোলার ফিজিক্স বা সূর্যের নিজস্ব কার্যপদ্ধতির বিজ্ঞান নিয়ে ধন্দে রয়েছেন বিশ্বের তাবড় তাবড় বিজ্ঞানীরা। এই অভিযানের মধ্য দিয়ে সেই রহস্য সমাধানের চেষ্টা চালানো হবে।


জানা গিয়েছে, সূর্যের কাছে যে ‘প্রোব’(তদন্তকারী মহাকাশযান) পাঠানো হবে, তার নাম রাখা হয়েছে পার্কার সোলার প্রোব। বিখ্যাত মহাকাশবিজ্ঞানী ইউজিন পার্কারের নামে নামাঙ্কিত করা হয়েছে। ৬০ বছর আগে ইউজিন প্রথম সৌর-ঝড়ের পূর্বাভাস করেছিলেন।


এদিন নাসার সায়েন্স মিশন ডিরেক্টরেটের সহযোগী অধিকর্তা টমাস জুরবাচেন জানান, এই প্রথম কোনও জীবিত বিজ্ঞানীর নামে কোনও অভিযানের নামকরণ করা হল।


নাসার তরফে জানানো হয়েছে, সূর্যের কাছে যে মহাকাশযানটি পাঠানো হবে, সেই পার্কার সোলার প্রোবটির আয়তন একটি ছোট গাড়ির মতো। কিন্তু, তাতে এমন সব সর্বাধুনিক যন্ত্রপাতি থাকবে, যা সূর্যের বহু রহস্যের উন্মোচন করতে সক্ষম হবে বলে আশাপ্রকাশ করছে মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা।


কেন করোনা বা সৌরমুকুটের তাপ সূর্যের পৃষ্ঠের থেকে বেশি? দীর্ঘদিন ধরে এই প্রশ্ন ধন্দে রেখেছে বিজ্ঞানীদের। পার্কার সোলার প্রোব সূর্যের বায়ুমণ্ডলের মধ্যে প্রবেশ করে সৌরপৃষ্ঠের অনেকটা কাছাকাছি থেকে প্রদক্ষিণ করে পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালাবে। কোনও সন্দেহ নেই, এর জন্য তাকে প্রচণ্ড তাপ ও তেজস্ক্রিয় বিকিরণ সহ্য করতে হবে। বলা বাহুল্য, এর আগে, কোনও মহাকাশযান সূর্যের এতটা কাছে যেতে সক্ষম হয়নি, যতটা যাবে পার্কার সোলার প্রোব।


কিন্তু, কী করে সূর্যের কয়েক হাজার ডিগ্রি তাপ সহ্য করবে মহাকাশযানটি? নাসার তরফে জানানো হয়েছে, প্রোব ও তার যন্ত্রাংশগুলি প্রায় সাড়ে চার ইঞ্জি পুরু কার্বন কম্পোজিট দিয়ে তৈরি বর্মের দ্বারা সুরক্ষিত থাকবে। জানা গিয়েছে, ২০১৮ সালের ৩১ জুলাই মহাকাশযানটি ফ্লোরিডার কেপ কেনেডি স্পেস সেন্টার থেকে রওনা দেবে।