নয়াদিল্লি: বিশ্ব স্বাস্থ্য সংগঠন (WHO)-এর পরামর্শদাতা কমিটি দক্ষিণ আফ্রিকায় প্রথম বার সামনে আসা করোনাভাইরাসের নতুন ভ্যারিয়েন্ট (New Corona variant B.1.1.529) নাম দিল ‘Omricron’।এই ওমরিক্রোন হল গ্রিক শব্দ। সেইসঙ্গে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংগঠন এই ভ্যারিয়েন্টকে উদ্বেগজনক তালিকায় রেখেছে।
উল্লেখ্য, এর আগে করোনা ভাইরাসের ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টকে খুবই ‘দ্রুত সংক্রামক উদ্বেগজনক তালিকা’য় রাখা হয়েছিল। এর প্রভাব সারা বিশ্বজুড়েই ছড়িয়েছিল এবং বেশি সংখ্যায় মানুষ এর সংক্রমণের শিকার হয়েছিল। এটি করোনা ভাইরাসের প্রথম ভ্যারিয়েন্টের তুলনায় দ্রুত ছড়িয়ে পড়ত এবং দ্রুত লোকজনকে অসুস্থ করে তুলত। এমনটাই নয়া ভ্যারিয়েন্ট ‘Omricron’ সম্পর্কেও আশঙ্কা করা হচ্ছে।
শুক্রবার বিশ্ব স্বাস্থ্য সংগঠনের টেকনিক্যাল অ্যাডাভাইসরি গ্রুপ অন ভাইরাস ইভোলিউশন (TAG-VE)-এর বৈঠক ডাকা হয়েছিল। বৈঠকে নয়া ভ্যারিয়েন্ট B.1.1.529 ও এর চরিত্র নিয়ে পর্যালোচনা করা হয়। বৈঠকের পর বিশ্ব স্বাস্থ্য সংগঠনের এক মুখপাত্র জানিয়েছেন, প্রাথমিক গবেষণায় দেখা গিয়েছে যে, অনেক বেশিবার এই ভাইরাস মিউটেট করেছে এবং এর মধ্যে কয়েকটি উদ্বেগজনক।
প্রাপ্ত তথ্যর ভিত্তিতে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংগঠনের টেকনিক্যাল অ্যাডভাইসারি গ্রুপ পরামর্শ দিয়েছে যে, এই ভ্যারিয়েন্টকে উদ্বেগজনক বলে চিহ্নিত করা উচিত। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংগঠন B.1.1529-কে ভ্যারিয়েন্ট অফ কনসার্ন তালিকায় রেখেছে। সেইসঙ্গে গ্রিক বর্ণক্রম অনুযায়ী, এই ভ্য়ারিয়েন্টের নাম রাখা হয়েছে "Omricron"।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংগঠনের ডিরেক্টর টেড্রোস অ্যাডানম গেব্রিয়েসাস ট্যুইট করে বলেছেন, নয়া কোভিড ১৯ ভাইরাস ভ্যারিয়েন্ট 'Omricron'-এ অনেক বেশি সংখ্যা মিউটেট হয়েছে, যেগুলির মধ্যে কয়েকটি উদ্বেগজনক। এই কারণে আমাদের #VaccinEquity কে যত দ্রুত সম্ভব বন্টনে এবং সবচেয়ে অরক্ষিত লোকজনের সুরক্ষায় প্রয়াস আরও জোরদার করতে হবে।
দক্ষিণ আফ্রিকা, বৎসোয়ানা, হংকং ও ইসরায়েলে পাওয়া গিয়েছে করোনা ভাইরাসের নতুন ভ্যারিয়েন্ট। যা আগের থেকে আরও ভয়ঙ্কর, দাবি বিশেষজ্ঞদের। ভারতে এখনও পর্যন্ত এই প্রজাতির ভাইরাসের হদিশ মেলেনি বলে দাবি কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রীর। রাজ্যগুলিকে সতর্ক থাকার নির্দেশ দিয়ে চিঠি দিয়েছে কেন্দ্র। এই নয়া ভ্যারিয়েন্ট মোকাবিলায় বেশ কয়েকটি দেশ দক্ষিণ আফ্রিকা যাত্রার ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। এই দেশগুলির মধ্যে রয়েছে আমেরিকা ও কানাডা। এছাড়াও আরও কয়েকটি দেশ একই ব্যবস্থা নিয়েছে।