গ্লোবাল টাইমসে প্রকাশিত নিবন্ধে দাবি করা হয়েছে, এই প্রকল্প এলাকার দেশগুলি যেভাবে সদর্থক সাড়া দিয়েছে, তাতে ভারত তার প্রতিবেশী দেশগুলিকে তাদের পরিকাঠামো উন্নয়নে চিনের সঙ্গে সহযোগিতার ক্ষেত্রে কোনওভাবে আটকাতে পারবে না।
দুদিনের বেল্ট অ্যান্ড রোড ফোরামের বৈঠকে যোগ দিয়েছেন পাকিস্তান সহ ২৯ টি দেশের নেতৃবৃন্দ। ওবিওআর উদ্যোগের আওতায় অন্যতম প্রধান প্রকল্প চিন-পাকিস্তান অর্থনৈতিক করিডর (সিপিইসি), যা পাক অধিকৃত কাশ্মীরের ভিতর দিয়ে গিয়েছে। সিপিইসি ভারতের সার্বভৌমত্ব এবং আঞ্চলিক সংহতিতে আঘাত হানছে— এ কথা বলেই ফোরাম বয়কট করেছে নয়াদিল্লি।
চিনের সরকারি সংবাদমাধ্যমের নিবন্ধে ভারতের এই আশঙ্কা উড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। এই প্রকল্প সম্পর্কে ভারতের অবস্থানকে দুঃখজনক আখ্যা দিয়ে নিবন্ধে বলা হয়েছে, বেল্ট অ্যান্ড রোড ফোরামে যোগ দিতে কোনও দেশের ওপর চাপ তৈরি করা হয়নি। চিন বারংবারই বলেছে, সিপিইসি প্রকল্পের জন্য কাশ্মীর সম্পর্কে অবস্থান বদল করা হবে না। এরপরও বেল্ট অ্যান্ড রোড সম্পর্কে ভারত বিরোধিতায় অনড় রয়েছে।
বেল্ট অ্যান্ড রোড ফোরামের সম্মেলনের আগে ভারতের বিদেশ মন্ত্রকের বিবৃতির প্রসঙ্গও উল্লেখ করা হয়েছে নিবন্ধে। বলা হয়েছে, এই প্রকল্পের বিরোধিতার অন্যতম কারণ হিসেবে ভারত সম্ভাব্য ঋণের বোঝা চাপার আশঙ্কার কথা বলেছে। ভারতের এই আশঙ্কাকে কটাক্ষ করে চিনের সংবাদমাধ্যমটি বলেছে, এটা খুবই আশ্চর্যের যে প্রকল্পের অন্তর্ভূক্ত দেশগুলির চেয়ে দর্শকের আশঙ্কা অনেক বেশি। ভারত প্রতিবেশী দেশগুলির ঋণের বোঝা নিয়ে মাথা ঘামাচ্ছে, অথচ প্রতিবেশীরা আরও বেশি দায় নিতে আগ্রহী।
নিবন্ধে বলা হয়েছে, বিমানবন্দর, বন্দর ও হাইওয়ে নির্মাণের জন্য গত শনিবার পাকিস্তান ও চিন ৫০০ মিলিয়ন ডলারের নতুন একটি চুক্তি করেছে। এজন্য সম্ভাব্য ঋণের কথা বলতে গেলে ২০২২ নাগাদ এই ঋণ সর্বোচ্চ হবে। কিন্তু সিপিইসি-তে ট্রানজিট ফি থেকে শোধ হয়ে যাবে।