পিয়ংইয়ং:বেশ কিছুদিন ধরেই উত্তর কোরিয়ার শাসক কিম জঙ উনের অসুস্থতা ও মৃত্যুর খবর নিয়ে তীব্র জল্পনা শুরু হয়েছিল। সেই সমস্ত জল্পনাকে ভেস্তে দিয়ে ২০ দিন পর প্রকাশ্যে দেখা গেল তাঁকে। উত্তর কোরিয়ার সংবাদসংস্থা কেসিএনএ জানিয়েছে, কিম জঙ শুক্রবার জনতার মাঝে আসেন এবং লোকজনের সঙ্গে কথাবার্তা বলেন। কিম একটি সার উত্পাদন কারখানারও উদ্বোধন করেন। ওই সময় কিমের সঙ্গে দেখা যায়, তাঁর বোন কিম ইয়ো জঙও।
এর আগে গত ১১ এপ্রিল দেশের ক্ষমতাসীন পার্টি ওয়ার্কার্স পার্টির পলিট ব্যুরোর বৈঠকে সভাপতিত্ব করতে শেষবার দেখা গিয়েছিল কিমকে। এরপর উত্তর কোরিয়ার একটি গুরুত্বপূর্ণ অনুষ্ঠানে কিমের অনুপস্থিতি নিয়ে তাঁর শারীরিক অবস্থা সম্পর্কে জল্পনা জোরদার হয়। ওই অনুষ্ঠান ছিল তাঁর প্রয়াত দাদু তথা উত্তর কোরিয়ার প্রতিষ্ঠাতা কিম উল সুঙের ১০৮ তম জন্মজয়ন্তী।
গত সপ্তাহ মার্কিন সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন ঘিরে কিমের শারীরিক অবস্থা সম্পর্কে জল্পনা আরও দানা বাঁধে। এই মার্কিন আধিকারিককে উদ্ধৃত করে প্রতিবেদনে জানানো হয়, গোয়েন্দা সূত্রে ওয়াশিংটনের কাছে তথ্য এসেছে যে, একটি অস্ত্রোপচারের পর কিমের শারীরিক অবস্থা খুবই সংকটজনক।
যদিও সরকারি সংবাদমাধ্যমে কিমের রাজনৈতিক পত্র পাঠানো ও সম্মানিত নাগরিকদের উপহার দানের মতো খবর নিয়মিত প্রকাশিত হতে থাকে।
উত্তর কোরিয়ার প্রতিদ্বন্দ্বী তথা প্রতিবেশী দেশ দক্ষিণ কোরিয়া কিমের স্বাস্থ্য নিয়ে জল্পনায় কোনও আমল দিতে রাজি হয়নি। তাদের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছিল যে, এ ব্যাপারে কোনও অস্বাভাবিক ইঙ্গিত নেই।
২০১৪-তেও কিম জঙ উনের মাঝেমধ্যেই লোকচক্ষুর অন্তরালে চলে যাওয়া নতুন কিছু নয়। এর আগেও ২০১৪-র সেপ্টেম্বর থেকে প্রায় ৪০ দিন আড়ালে চলে গিয়েছিলেন কিম। পরে যখন প্রকাশ্যে আসেন, তখন তাঁকে খুঁড়িয়ে হাঁটতে দেখা গিয়েছিল। সিওলের গোয়েন্দা সংস্থা তখন জানিয়েছিল, কিম পায়ের গোড়ালির সমস্যায় ভুগছেন।