অসলো: কেউ বলছেন অস্বাভাবিক, কেউ বিপজ্জনক। কিন্তু সিদ্ধান্তে অনড় নরওয়ে সেনা। তাদের পরিষ্কার কথা, মহিলা সেনাকর্মীদের পুরুষ সহকর্মীদের সঙ্গে একই বেডরুমে থাকতে হবে। উত্তর নরওয়ের এক সেনা ছাউনিতে শুরু হয়েছে এই এক্সপেরিমেন্ট। প্রতিটি ঘরে দু’জন মহিলার সঙ্গে থাকতে দেওয়া হয়েছে চারজন পুরুষ সেনাকর্মীকে। কিন্তু আশ্চর্য কথা হল, যে মহিলারা এইভাবে রুম শেয়ার করছেন, তাঁরা কিন্তু বিষয়টিতে যথেষ্ট স্বচ্ছন্দ। বরং এই পরীক্ষা শুরু হওয়ার পর যৌন নির্যাতনের ঘটনা কমেছে। মহিলারা বলছেন, পুরুষদের সঙ্গে থাকতে কোনও অস্বস্তি হচ্ছে না, উল্টে নারী-পুরুষ বিভেদ ঘুচে গিয়ে সকলকে সমলিঙ্গ বলে মনে হচ্ছে।


মহিলা সেনাকর্মীরা সকলেই জানাচ্ছেন, এভাবে এক রুম শেয়ার করতে গিয়ে উপকৃত হয়েছেন তাঁরা। পাশাপাশি থেকে কাজ যখন করতে হবে, তখন পরস্পরের প্রতি বিশ্বাস বাড়ানোর জন্য এক ঘরে থাকা সবথেকে ভাল উপায়। বরং অন্য ঘরে, আলাদা থাকলে অনেক সময় প্রতিদ্বন্দ্বিতার মনোভাব এসে পড়ে। শুধু ‘মহিলাদের জন্য’ ঘরে ঝগড়াঝাঁটি, অশান্তিও নতুন কিছু নয়। মেয়েরা একটু নিজের মত থাকতে পছন্দ করায় সেনাবাহিনী সংক্রান্ত নতুন নতুন খবরও দেরিতে পৌঁছয় তাঁদের কাছে।

নরওয়ে সেনার কাছে এ ধরনের পরীক্ষানিরীক্ষা অবশ্য নতুন কিছু নয়। গত নভেম্বরে তারা ঘোষণা করে, সেনাকর্মীরা সপ্তাহে একদিন শুধু নিরামিষ খেয়ে থাকবেন। পরিবেশ দূষণের বিরুদ্ধে তাদের এই পদক্ষেপ ভালরকম সমাদৃত হয়। এর আগে অগাস্টে পুরুষ সেনাকর্মীদের জন্য লম্বা চুল আইনসিদ্ধ করে তারা। এতটাই লম্বা, যাতে সেনাকর্মীরা পনিটেল বা বিনুনি বাঁধতে পারেন।