নয়া দিল্লি: বিশ্বের একাধিক দেশের পাশাপাশি ভারতেও দ্রুত গতিতে ছড়িয়ে পড়ছে ওমিক্রন। এই আবহে করোনার নয়া প্রজাতির উপসর্গ নিয়ে একাধিক মত পার্থক্য হচ্ছে স্বাস্থ্য মহলে। প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছিল যে নতুন ভ্যারিয়ান্টের উপসর্গও আগের ভ্যারিয়ান্টগুলির মতই। কিন্তু এবার স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন যে বেশ কিছু আলাদা উপসর্গও রয়েছে। 


এমন একটি উপসর্গর খোঁজ পাওয়া গিয়েছে যেটিকে ওমিক্রনের প্রধান লক্ষণ হিসেবে ধরা যেতে পারে। কারণ এই প্রজাতি আরটিপিসিআর টেস্টে ধরা পড়ছে না। জিনোম সিকোয়েন্সিংয়ের মাধ্যমে এই ভ্যারিয়েন্টের হদিশ পাওয়া গিয়েছে মাত্র। সমীক্ষার মাধ্যমে দেখা গিয়েছে, সকল ওমিক্রন আক্রান্তেরই গলায় সমস্যা হচ্ছে। দক্ষিণ আফ্রিকা ভিত্তিক ডিসকভারি হেলথের প্রধান নির্বাহী রায়ান নোয়াক জানিয়েছেন ওমিক্রনের উপসর্গ অত্যন্ত মৃদু। 


তবে গলায় কোনও অস্বস্তি, কাশি, হালকা জ্বর, ক্লান্তি এসব লক্ষণ থাকছে।  ওমিক্রন সংক্রামিত রোগীর চরম ক্লান্তি, গলা ব্যথা, পেশী ব্যথা এবং শুকনো কাশির মতো সমস্যা রয়েছে। শরীরের তাপমাত্রা বেড়ে যায়। করোনার ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট থেকে এর লক্ষণগুলো বেশ আলাদা, দক্ষিণ আফ্রিকান মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের (সামা) প্রধান Dr. Angelique Coetzee একথা জানিয়েছেন।


এদিকে, শরীরের বাড়তি মেদে (Fat) লুকিয়ে থাকতে পারে করোনা। চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এল ল্যানসেটের (Lancet) গবেষণাপত্রে (Research Ppaer)। অন্য একটি রিপোর্টে বলা হয়েছে, মিউটেশনের জেরে ভাইরাস (Coronavirus) শক্তিশালী হওয়ায় অনেক ক্ষেত্রেই হার মানছে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা। 


আন্তর্জাতিক বিজ্ঞান বিষয়ক জার্নাল, ল্যানসেটে (Lancet) প্রকাশিত হয়েছে তেমনই গবেষনামূলক রিপোর্ট। ওমিক্রন (Omicron) নিয়ে উদ্বেগের মধ্যেই নতুন করে গবেষণা, চিকিৎসকরা বলছেন যারা মোটা, তাঁদের ক্ষেত্রে ঝুঁকি বেশি থাকছে, একই সঙ্গে ভ্যাকসিনের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা তাকে কাটিয়ে সম্ভাবনা বেশি। 


গত অক্টোবরে কয়েকজন স্থূলকায় মার্কিন নাগরিকের উপর গবেষণা চালিয়েছেন, ক্যালিফোর্নিয়ার স্ট্যান্ডফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল গবেষক। তাঁদের সেই গবেষণাপত্র প্রকাশিত হয়েছে ল্যানসেটে। যেখানে উল্লেখ করা হয়েছে, যাঁদের অতিরিক্ত ওজন, তাঁদের শরীরে থাকা মেদের মধ্যে লুকিয়ে থাকতে পারে করোনা ভাইরাস। চিকিৎসা করলেও লুকিয়ে থাকা ওই ভাইরাসের উপর তার কোনও প্রভাব পড়ে না।