ইসলামাবাদ: পাকিস্তানি মেয়েদের চিনা নাগরিকদের সঙ্গে নকল, বেআইনি বিয়ের ফাঁদে ফেলে দেহ ব্যবসায় নামানোর চক্রের বিরুদ্ধে অভিযান। ২০-র বেশি চিনা নাগরিক গ্রেফতার পাকিস্তানের নানা শহরে। পাকিস্তানি তরুণীদের বিয়ের পর চিনে গিয়ে চিনা স্বামীদের যৌন শোষণের শিকার হওয়ার খবর পাক মিডিয়ায় ফলাও করে বেরনোর পর ওই চক্রের বিরুদ্ধে ধরপাকড় অভিযানে নামে পুলিশ। পাক মেয়েদের জাল বিয়ের আয়োজনে যুক্ত থাকায় ওই চিনা নাগরিকদের গ্রেফতার করা হয়। তাদের বিরুদ্ধে পাক মেয়েদের অঙ্গ বাদ দিয়ে দেহ ব্যবসায় নামানোর অভিযোগ উঠেছে।
চিনের একাধিক কোম্পানি পাকিস্তানে বিভিন্ন উন্নয়নমূলক প্রকল্পে কাজ করছে। সেইসূত্রে শয়ে শয়ে চিনা নাগরিক দেশে থাকতে এসেছে।
ইসলামাবাদ, রাওয়ালপিন্ডি থেকে ১৪ চিনাকে গ্রেফতার করেছে ফেডেরাল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সির (এফআইএ) মানব পাচার দমনকারী সেল। তিনটি মেয়েকে তারা উদ্ধার করেছে বলে খবর পাক অভ্যন্তরীণ মন্ত্রকের। তাদের কর্তারা বলেছেন, এই প্রথম গ্রেফতার হওয়া চিনাদের কাছ থেকে বেআইনি অস্ত্রও উদ্ধার হয়েছে।
এর আগে পাক অভ্যন্তরীণমন্ত্রী ইজাজ শাহ বেআইনি বিয়ের আয়োজন ও পাক মেয়েদের চিনে পাচারে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেন। সমস্যা মোকাবিলায় চিনা দূতাবাসের সঙ্গে যোগাযোগ করতেও সরকারি অফিসারদের বলেন তিনি।
চিনে মহিলা পাচারের ব্যাপারে তিনদিনের মধ্যে বিস্তারিত রিপোর্ট পেশ করতে বলেন অভ্যন্তরীণ বিষয়ক সেনেট স্ট্যান্ডিং কমিটির চেয়ারম্যান রহমান মালিক। এফআইএ-কে বিয়ের আড়ালে চিনে নারী পাচারে জড়িত চক্রের বিরুদ্ধে কঠোর হতে বলে পাক সরকারও।
স্থানীয় মিডিয়া রিপোর্টে প্রকাশ, গরিব খ্রিস্টান ঘরের মেয়েদের টাকাপয়সা, পাকিস্তানে কর্মরত বা কাজের সূত্রে আসা চিনাদের সঙ্গে বিয়ের পর স্বচ্ছল জীবনের টোপ দিয়ে বিয়েতে রাজি করায় বেআইনি পাত্রপাত্রীর সন্ধান দেওয়া বিভিন্ন সেন্টার। এই কেন্দ্রগুলি চিনা নাগরিকদের ব্যাপারে জাল নথি পেশ করে যাতে তাদের খ্রিস্টান বা মুসলিম বলে দেখানো হয়। বিয়ের পর বেশিরভাগ মেয়েই মানুষ পাচার চক্রের শিকার হয়ে দেহ ব্যবসায় নামতে বাধ্য হয়েছে বলে দাবি করা হয়েছে রিপোর্টে।