ইসলামাবাদ: কুলভূষণ যাদবের আবেদন খতিয়ে দেখছেন পাকিস্তানের সেনাপ্রধান কামার জাভেদ বাজোয়া। সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে যথার্থতা অনুযায়ী। সেদেশের সেনা সূত্রে এমনটাই খবর।


পাকিস্তানে চরবৃত্তি ও সন্ত্রাস যুক্ত থাকার অভিযোগে গত এপ্রিল মাসে প্রাক্তন ভারতীয় নৌসেনা কর্মী কুলভূষণ যাদবকে ফাঁসির সাজা দেয় সেদেশের সামরিক আদালত।


পাক সেনার দাবি, গত বছরের মার্চ মাসে যাদবকে বালোচিস্তান প্রদেশ থেকে গ্রেফতার করা হয়। ইরান হয়ে সে পাকিস্তানে ঢুকেছিল বলে দাবি করে ইসলামাবাদ। যদিও, ভারতের পাল্টা দাবি, কুলভূষণকে ইরান থেকেই অপহরণ করা হয়েছে।


এরপর রায়ের বিরুদ্ধে দ্য হেগ শহরের আন্তর্জাতিক ন্যায় আদালতের (আইসিজে) দ্বারস্থ হয় ভারত। নয়াদিল্লি জানায়, বারবার আবেদন করা সত্ত্বেও, কুলভূষণকে কন্স্যুলার অ্যাকসেস দিতে রাজি হচ্ছে না ইসলামাবাদ। সব শুনে গত মে মাসে আইসিজে কুলভূষণের ফাঁসি রদ করার নির্দেশ দেয়।


পাক গুপ্তচর সংস্থা আইএসআই-এর তরফে জানানো হয়, সামরিক আপিল আদালত ৪৬ বছরের কুলভূষণের আবেদন খারিজ করে দিলে গতমাসে পাক সেনাপ্রধান বাজোয়ার সামনে ক্ষমাপ্রার্থনার আবেদন করেছিলেন তিনি।


এদিন পাক সেনার মুখপাত্র মেজর জেনারেল আসিফ গফুর জানান, কুলভূষণের বিরুদ্ধে যে তথ্যপ্রমাণ রয়েছে, তা খতিয়ে দেখছেন খোদ সেনাপ্রধান। তথ্যপ্রমাণের যোগ্যতা বিচার করেই সিদ্ধান্ত নেবেন তিনি।


পাকিস্তানের আইন অনুযায়ী, সেনাপ্রধানের কাছে ক্ষমাপ্রার্থনা করার অধিকার রয়েছে কুলভূষণের। সেনাপ্রধান যদি আবেদন খারিজ করে দেন, তাহলে পাক প্রেসিডেন্টের কাছে ক্ষমার আবেদন করতে পারবেন তিনি।