ইসলামাবাদ: সুপ্রিম কোর্ট নিরাশ করল নওয়াজ শরিফকে।

পানামা পেপার্স কেলেঙ্কারি ইস্যুতে সুপ্রিম কোর্ট গত ২৮ জুলাই তাঁর পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী পদে বহাল থাকার বৈধতা খারিজ করে। শরিফ ছাড়াও তাঁর ছেলে হুসেইন, হাসান, মেয়ে মরিয়ম, মেয়েজামাই মহম্মদ সফদর ও পাক অর্থমন্ত্রী ঈশাক দারের বিরুদ্ধে পানামা কাণ্ডে দুর্নীতি মামলা দায়ের করতেও বলে সুপ্রিম কোর্ট।

সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ চ্যালেঞ্জ করে শরিফ ও তাঁর ছেলেমেয়েরা যে পৃথক রিভিউ পিটিশন দিয়েছিলেন, সবগুলি আজ বাতিল করে দিল সর্বোচ্চ আদালত।

বিচারপতি আসিফ সঈদ খান খোসার নেতৃত্বাধীন যে ৫ বিচারপতির বেঞ্চ শরিফের পার্লামেন্টের সদস্যপদ খারিজ করেছিল, গত সোমবার থেকে সেই বেঞ্চেই রিভিউ পিটিশনগুলির শুনানি হয়।

রিভিউ পিটিশন নাকচ হওয়ায় প্রধানমন্ত্রী পদে থাকার বৈধতা খারিজের নির্দেশ চ্যালেঞ্জ করার আর কোনও আইনি রাস্তা নেই শরিফের। তবে আগামী বছরের সাধারণ নির্বাচনে তাঁর দল পিএমএল (এন) পার্লামেন্ট দুই তৃতীয়াংশ গরিষ্ঠতা পেলে সংবিধান সংশোধন করে সাংসদ পদ খারিজের সময়সীমা আজীবন থেকে সীমিত সময়ের জন্য করিয়ে নিতে পারবেন।

এদিনের শীর্ষ আদালতের সিদ্ধান্তের পর শরিফ পরিবার, ঈশাক দারকে ন্যাশনাল অ্যাকাউন্টেবিলিটি ব্যুরোর দায়ের করা দুর্নীতি মামলায় বিচারের মুখে দাঁড়াতে হবে।

শুনানিতে শরিফের কৌঁসুলি সওয়াল করেন, যে বেতনই উনি কোনওদিন পাননি, তা না জানানোয় কী করে তাঁর পার্লামেন্টের সদস্যপদ খারিজ হতে পারে? কিন্তু আদালত তা গ্রাহ্য করেনি।
তিনি এও দাবি করেন, সম্পত্তির কথা প্রকাশ না করায় শুধু শরিফের নির্বাচন বাতিল হতে পারে, তাঁকে বরখাস্ত করা যায় না। কিন্তু একমত হয়নি আদালত।

আরও কয়েকটি টেকনিক্যাল কারণ দেখিয়ে আপত্তি জানান তিনি। কিন্তু সুপ্রিম কোর্ট ২৮ জুলাইয়ের রায়ই বহাল রাখে।

এদিকে রবিবারই লাহোরে শরিফের সংসদীয় কেন্দ্রে উপনির্বাচন, যাতে তাঁর দলের টিকিটে লড়ছেন স্ত্রী কুলসুম নওয়াজ। বর্তমানে লন্ডনে চিকিত্সা চলছে ক্যান্সার আক্রান্ত কুলসুমের।

প্রসঙ্গত, পাকিস্তানে পানামা পেপার্স ফাঁস হওয়ার পর চাঞ্চল্যকর তথ্য সামনে আসে, শরিফের ছেলেমেয়েরা বিদেশে বিপুল সম্পত্তি করেছেন, কোম্পানির মালিক হয়েছেন। পাক বিরোধীদের অভিযোগ, হিসাব বহির্ভূত অর্থেই কোম্পানি কিনেছেন তাঁরা।