ওয়াশিংটন: জঙ্গি গোষ্ঠী নিয়ে পাকিস্তানকে কড়া হুঁশিয়ারি দিলেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ভাবী প্রতিরক্ষা-সচিব জেমস ম্যাটিস। জানান, প্রমাণ পেলে তিনি ইসলামাবাদকে বলবেন, সেদেশে অবাধে বিচরণ করা এবং বিভিন্ন দেশের ক্ষতি করা জঙ্গি গোষ্ঠীগুলিকে অবিলম্বে ‘খতম বা বিতাড়ন’ করতে হবে।


চলতি মাসেই মার্কিন মুলুকের নতুন প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নেবেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। আর ট্রাম্প মনোনীত দেশের পরবর্তী প্রতিরক্ষা সচিবের দায়িত্ব পেতে চলেছেন ম্যাটিস। তার আগে মার্কিন সেনেটের আর্মড সার্ভিসেস কমিটকে লিখিত বয়ানে ম্যাটিস জানান, পাকিস্তানকে প্রতিরক্ষা সহায়তা করার প্রভাবের ইতিহাস অনেকটাই মিশ্র। তা সত্ত্বেও, দেশের স্বার্থে তিনি সব বিকল্প বিচার করতে রাজি।


ম্যাটিস বলেন, যদি আমাকে প্রমাণ দেওয়া হয়, তাহলে আমি বিদেশ দফতর এবং কংগ্রেসের সঙ্গে কথা বলে পাকিস্তানকে দেওয়া আর্থিক সহায়তার বিষয়ে কথা বলব, বিশেষ করে যেক্ষেত্রে যেখানে এদেশের স্বার্থের গুরুত্ব জড়িত।


পাশাপাশি, পাকিস্তানকে এই বার্তা দেওয়া হবে, যাতে তারা অবিলম্বে সেইসব জঙ্গি গোষ্ঠীগুলিকে অবিলম্বে খতম বা বিতাড়িত করে যেগুলি সেদেশের সীমান্তের ভিতর থেকে (নাশকতামূলক কার্যকলাপ) পরিচালনা করে চলেছে।


৬৬ বছরের ম্যাটিস ২০১৩ সালে সামরিক বাহিনী থেকে অবসর নেন। তার আগে তিনি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সেন্ট্রাল কম্যান্ডের দায়িত্বে ছিলেন। তিনি জানান, অতীতে আফগান তালিবানের থেকে বেশ কিছু ‘কঠোর শিক্ষালাভ’ করেছে পাকিস্তান। সেদেশে ঘটে যাওয়া একাধিক হিংসাত্মক ঘটনা তারই প্রমাণ।


এদিন ম্যাটিস জানান, ভারতের সঙ্গে সম্পর্কের উন্নতি ঘটানোর দিকে নজর দেওয়া উচিত পাকিস্তানের। বলেন, প্রতিবেশী রাষ্ট্রের সঙ্গে ওদের আরও সহযোগিতা করা উচিত। (পাক) তালিবান ও হক্কানি নেটওয়ার্কের বিরুদ্ধে তাদের আরও কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা উচিত।


প্রসঙ্গত, আল-কায়দা ঘনিষ্ঠ হক্কানি নেটওয়ার্কের বিরুদ্ধে আফগানিস্তানে ভারত সহ বিভিন্ন দেশের ওপর জঙ্গি হামলা চালানোর অভিযোগ উঠেছে। এর মধ্যে রয়েছে, ২০০৮ সালে কাবুলে ভারতীয় মিশনে হামলাও।


ম্যাটিস বলেন, পাক ভূমিতে তালিবান ও তাদের সহযোগী সংগঠনগুলির অবাধ বিচরণ আফগানিস্তান নিরাপত্তা বাহিনীর জন্য একটা চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। তিনি জানিয়ে দেন, আফগানিস্তানের নিরাপত্তা বিঘ্নিত হয়, এমন কোনও চরমপন্থী সংগঠনকে রেয়াত করা হবে না।