পাক বিদেশমন্ত্রকের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, গত ৯ নভেম্বর শাহকোট, জুরায় ভারতীয় বাহিনীর কামান ব্যবহারের নিন্দা করেন চৌধুরি। ভারতীয় হাই কমিশনারকে বলেন, ১৩ বছর পর কামান থেকে হামলা চালানো থেকে ভারতের উত্তেজনার পারদ চড়িয়ে তোলা, আঞ্চলিক শান্তি, সুরক্ষা নষ্ট করার অভিপ্রায়ই ফুটে উঠেছে। পাক বিদেশ সচিব এও জানিয়েছেন, গ্রাম ও ঘন জনবসতিপূর্ণ এলাকাগুলি টার্গেট করে ভারতের দিক থেকে নির্বিচারে গুলিচালনা, শেলিংয়ে গত ২ মাসে ২৬ জন সাধারণ নাগরিকের মৃত্যু হয়েছে। ১০৭ জন জখমও হয়েছেন।
পাক বিবৃতির বক্তব্য, নিয়ন্ত্রণ রেখা, অস্থায়ী সীমান্তে শান্তি, সুস্থিতি রক্ষার দায়িত্ব আছে রাষ্ট্রপুঞ্জের ভারত ও পাকিস্তান সংক্রান্ত পর্যবেক্ষক গোষ্ঠীর। পাকিস্তান ওই গোষ্ঠীর সঙ্গে পূর্ণ সহায়তা করছে, তাদের নিয়ন্ত্রণ রেখা, অস্থায়ী সীমান্তে যেতে দিচ্ছে, আমরা ভারতেও ওদের নিয়ন্ত্রণ রেখার পরিস্থিতি দেখতে দিতে যাওয়ার অনুমতি দিতে বলছি।
এছাড়াও পাক বিদেশসচিব বলেন, ভারত যেন নিয়ন্ত্রণ রেখা, অস্থায়ী সীমান্তে কোনও উসকানি ছাড়াই লাগাতার যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘনের তদন্ত করে, ২০০৩ -এর যুদ্ধবিরতি চুক্তিকে অক্ষরে অক্ষরে মর্যাদা দেয়।
গতকাল ভারতীয় ডেপুটি হাই কমিশনার জে পি সিংহকেও ২ সপ্তাহে ষষ্ঠবার তলব করে ভারতের বিরুদ্ধে সংঘর্ষবিরতি চুক্তি ভাঙার অভিযোগে ক্ষোভ জানায় পাক বিদেশমন্ত্রক।