উল্লেখ্য, আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে কাশ্মীরের চলতি পরিস্থিতি ও মানবাধিকার লঙ্ঘনের যে অভিযোগ পাকিস্তান এনেছে তা আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে তুলে ধরার চেষ্টা করছেন শরিফ। এই লক্ষ্যেই সৈয়দের সঙ্গে শরিফের দূত হিসেবে আমেরিকায় এসেছেন শাজরা মনসব। সৈয়দ আমেরিকাকে হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছেন, ভারত ও কাশ্মীর সম্পর্কে পাকিস্তানের মতামত বিবেচনা না করলে তারা চিন ও রাশিয়ার দিকে ঘেঁসতে পারে।
দেড় ঘন্টার আলাপচারিতার পর সৈয়দ এক দর্শকের প্রশ্নের উত্তর দিতে গিয়ে ওই মন্তব্য করেন বলে মনে করা হচ্ছে। এর আগে আলাপচারিতায় কাশ্মীর ও ভারত সম্পর্কে তাঁর মতামতে সমর্থনের অভাব দেখে হতাশাও ব্যক্ত করেন।
সৈয়দের ওই মন্তব্য ক্যামেরায় ধরা পড়েনি। কিন্তু যাঁরা ওই রুমে ছিলেন তাঁরা প্রত্যেকেই স্পষ্টভাবে সৈয়দের মন্তব্য শুনতে পেয়েছেন।
আফগানিস্তান ও পাকিস্তানের জন্য বিশেষ মার্কিন দূত রিচার্ড ওসলনের কাছে কাশ্মীরের মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ নিয়ে একটি ডসিয়ার জমা দিয়েছেন সৈয়দ।
আমেরিকায় শরিফের কাশ্মীর সংক্রান্ত দুই বিশেষ দূত কাজের কাজ কিছুই করতে পারেননি। তাঁদের বক্তব্যে গুরুত্ব দেয়নি কেউ। এর ফলে হতাশ সৈয়দ বলেছেন, দক্ষিণ এশিয়ায় এখন গুরুত্বপূর্ণ ফ্যাক্টর চিন। বেজিংকে তিনি বৃহত্তর দক্ষিণ এশিয়ার অংশ হিসেবে উল্লেখ করেছেন।
পাকিস্তান ও রাশিয়ার যৌথ সামরিক মহড়ার উল্লেখ করে সৈয়দ বলেছেন, মস্কো ও ইসলামাবাদের মধ্যে ধীরে ধীরে সুদৃঢ় সম্পর্ক গড়ে উঠছে। তিনি আরও বলেছেন, এই প্রথম পুতিন সরকার পাকিস্তানকে অস্ত্র বিক্রয় করতে রাজি হয়েছে এবং আমেরিকাকে এই আঞ্চলিক সম্পর্কের বিন্যাসের এই পরিবর্তনের ব্যাপারে লক্ষ্য রাখতে হবে।
ওবামার আমলে এই অঞ্চলে আমেরিকার বিদেশনীতির বদল ঘটেছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি। আমেরিকার আফগানিস্তান ও তালিবান নীতিতে ধোঁয়াশা রয়েছে বলেও দাবি করেন তিনি।