ইসলামাবাদ: কাশ্মীরে কিছু একটা ঘটলেই ঝাঁপিয়ে পড়ে খড়কুটোর মতো তাকে আঁকড়ে ধরতে মরিয়া আন্তর্জাতিক মহলে প্রায় কোণঠাসা হয়ে পড়া পাকিস্তান। ছররা গুলিতে জখম ১২ বছরের কিশোরের মৃত্যুকেও ভারতের বিরুদ্ধে প্রচারে ব্যবহার করছে তারা। জুনেইদ আখনুন নামে ওই কিশোরের মৃত্যুকে ‘রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাসের সবচেয়ে জঘন্য দৃষ্টান্ত’ বলল পাক বিদেশ মন্ত্রক। তারা বিবৃতি দিয়ে বলেছে, কাশ্মীরে ‘ভারতের লাগাতার নির্যাতনের’ এক অধ্যায় ঘটনাটি। ‘এটা ঠান্ডা মাথায় খুন। ভারত সরকারের রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাসের চরমতম উদাহরণ। অবশ্যই নিন্দাযোগ্য। পাকিস্তান সরকার ও দেশের জনগণ জুনেইদের শোকসন্তপ্ত পরিবারকে গভীর সহানুভূতি জানাচ্ছে।’

কাশ্মীরের মানুষ রাষ্ট্রপুঞ্জের নিরাপত্তা পরিষদের প্রস্তাব মতোই মৌলিক মানবাধিকার, বিশেষত আত্মনিয়ন্ত্রণের অধিকার চাইছেন বলে দাবি পাক বিদেশমন্ত্রকের। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, কাশ্মীরে ভয়াবহ মানবাধিকার লঙ্ঘন, ক্রমবর্ধমান কাশ্মীরী নির্যাতন, গণহত্যায় অবশ্যই রাষ্ট্রপু্ঞ্জ ও আন্তর্জাতিক মহলের উদ্বেগের বিষয় হওয়া উচিত। ভারত রক্ত ঝরাচ্ছে। তা বন্ধ করতে অবিলম্বে তাদের হস্তক্ষেপ চাই।

ভারতীয় বাহিনীকে ‘রেহাই দেওয়ার সংস্কৃতি’র অবসান হওয়া উচিত, বলেছে পাকিস্তান। কাশ্মীরীদের ব্যাপক মানবাধিকার লঙ্ঘনের স্বচ্ছ, নিরপেক্ষ, ন্যায়সঙ্গত তদন্তের দাবিও তুলেছে।

প্রসঙ্গত, শুক্রবার মারা যায় মাথা, বুকে পেলেট গানের গুলিতে আঘাত পাওয়া ছেলেটি। তিন মাসব্যাপী চলতি অশান্তিতে মৃত্যু বেড়ে হয়েছে ৮৪। গতকালই জুনেইদের মৃত্যু ঘিরে তুমুল বিক্ষোভ দেখিয়ে নিরাপত্তাবাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে জড়ায় তার এলাকার বাসিন্দারা। তাদের ক্ষোভই উস্কে দেওয়ার চেষ্টা করছে পাকিস্তান।