আব্দুল কাদির খান এই মন্তব্য করেন পাকিস্তানের প্রথম পরমাণু পরীক্ষার বর্ষপূর্তির এক অনুষ্ঠানে। বিজ্ঞানী কাদির খানের নেতৃত্বেই ১৯৯৮ সালে পাকিস্তান প্রথম সফল পরমাণু পরীক্ষা চালায়।
তিনি এই অনুষ্ঠানে জানান, পাকিস্তান ১৯৮৪ সালেই পরমাণু শক্তিধর রাষ্ট্রের তকমা পেয়ে যেত, যদি তত্কালীন রাষ্ট্রপতি জেনারেল জিয়া উল হক এই পদক্ষেপে গ্রহণে বাধা হয়ে না দাঁড়াতেন। পরমাণু বিজ্ঞানী জানান, জেনারেল জিয়া উল হক যিনি ১৯৭৯ থেকে ১৯৮৮ সাল পর্যন্ত পাকিস্তান শাসন করেছিলেন, মনে করেছিলেন পরমাণু পরীক্ষা হলে বিশ্বমঞ্চে একঘরে হয়ে যাবে পাকিস্তান। বন্ধ হয়ে যাবে আন্তর্জাতিক সাহায্য। বিশ্বের ক্ষমতাশালী রাষ্ট্রগুলোর থেকে সেনা আক্রমণের মুখেও পড়তে পারে ভারতের এই প্রতিবেশী রাষ্ট্র, ধারণা ছিল তত্কালীন রাষ্ট্রপতির, দাবি বিজ্ঞানীর।
২০০৪ সালে পরমাণু প্রযুক্তি পাচারের অভিযোগে অভিযুক্ত হন পরমাণু বিজ্ঞানী। প্রেসিডেন্ট পারভেজ মুশারফের আমলে তাঁকে কার্যত গৃহবন্দি করে রাখা হয়। কিন্তু তাঁর প্রতি এই আচরণে ক্ষুব্ধ হন বিজ্ঞানী। তাঁর দাবি, তিনি না থাকলে পাকিস্তানের পক্ষে কখনওই প্রথম মুসলিম রাষ্ট্র হিসেবে বিশ্বে পরমাণু শক্তিধর রাষ্ট্রগুলির মধ্যে জায়গা করে নেওয়া সম্ভব হত না।অথচ তাঁর সঙ্গেই সঠিক ব্যবহার করল না পাক প্রশাসন।