ইসলামাবাদ: লাহোর থেকে চিনের জিনজিয়াং প্রদেশের কাসগড় পর্যন্ত লাক্সারি বাস পরিষেবা চালু করে দিল পাকিস্তান, চিন। পাকিস্তান অধিকৃত কাশ্মীরের (পিওকে) হয়ে এই বাস যাবে বলে আপত্তি তুলেছিল ভারত। কিন্তু তাতে কর্ণপাত করেনি ওই দুই দেশ। সোমবার রাতে শুরু হওয়া এই পরিষেবা ৬০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার অর্থমূল্যের চিন-পাকিস্তান ইকনমিক করিডরের (সিপিইসি) আওতায় দুটি দেশকে জুড়ে দেওয়ার কর্মসূচির আওতায়।
পাকিস্তান ট্যুরিজম ডেভেলপমেন্ট কর্পোরেশন ও সুজা এক্সপ্রেসের চালু করা বাসটি লাহোর থেকে যাত্রা শুরু করে ৩৬ ঘন্টায় জিনজিয়াং পৌঁছবে।
সপ্তাহে চারদিন শনি, রবি, সোম ও মঙ্গলবার লাহোর থেকে ছাড়বে বাস। অন্যদিকে কাসগর থেকে ছাড়বে মঙ্গল, বুধ, বৃহস্পতি ও শুক্রবার। রেডিও পাকিস্তানের খবর, খুনজেরাবে চিনে ঢোকার আগে ৫টি জায়গায় থামবে বাস। একপিঠের ভাড়া ১৩০০০ টাকা, একসঙ্গে দুপিঠের জন্য দিতে হবে ২৩ হাজার টাকা।
পিওকে-র ভিতর দিয়ে বাস পরিষেবায় ভারত প্রবল আপত্তি জানালেও চিনা বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র লু কাং তার সমর্থনে সওয়াল করেছিলেন, ইসলামাবাদের সঙ্গে তাঁদের সহযোগিতার সঙ্গে এলাকাগত বিতর্কের কোনও সম্পর্ক নেই, এতে কাশ্মীর প্রশ্নে তাঁদের নীতিনিষ্ঠ অবস্থানে বদল হচ্ছে না।
পাক বিদেশমন্ত্রকও ভারতের আপত্তি খারিজ করে দেয়। তারা বলে, চিন-পাকিস্তান অর্থনৈতিক করিডর দিয়ে বাস চলাচল নিয়ে ভারতের বিদেশমন্ত্রকের প্রতিবাদ ও বিবৃতি আমরা প্রত্যাখ্যান করছি।
২০১৫ সালে শুরু হওয়া সিপিইসি-র মাধ্যমে চিনের প্রাকৃতিক সম্পদে সমৃদ্ধ জিনজিয়াং উইঘুর অটোনমাস এলাকার সঙ্গে আরব সাগরে পাকিস্তানের কৌশলগত দিক থেকে গুরুত্বপূর্ণ গোয়াদর বন্দরকে রাস্তা, রেলপথে জুড়ে দেওয়া ও শক্তি সংক্রান্ত প্রকল্প রূপায়ণ করা হচ্ছে।