ইসলামাবাদ: গত ৯ ডিসেম্বর সাবমেরিন থেকে ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র বাবর-৩ এর সফল পরীক্ষা হয়েছে। এবার ২২০০ কিমি দূরত্ব পর্যন্ত পরমাণু অস্ত্র বহনের ক্ষমতাসম্পন্ন সারফেস টু সারফেস ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের (এসএসএম) প্রথম পরীক্ষামূলক উতক্ষেপণ করল পাকিস্তান। ‘আবাবিল’ নামে এই ক্ষেপণাস্ত্রের  উতক্ষেপণ সফল বলে দাবি পাক সেনাবাহিনীর মুখপাত্র মেজর জেনারেল আসিফ গফুরের। এক বিবৃতিতে তিনি বলেছেন, মাল্টিপল ইন্ডিপেন্ডেন্ট রি-এন্ট্রি ভেহিকল (এমআইআরভি) নামে বহুমুখী প্রযুক্তি ব্যবহারে সক্ষম ক্ষেপণাস্ত্রটি। পাকিস্তানের দাবি, ভারতের একাধিক শহর ‘আবাবিল’-এর নিশানায় রয়েছে।

গফুর বলেন, ওই অস্ত্র সিস্টেমের নানা বৈচিত্র্যময় ডিজাইন ও প্রযুক্তিগত মাপকাঠি পরীক্ষা করে দেখতেই তার উতক্ষেপণ করা হল। পাক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, পরমাণু অস্ত্র বয়ে নিয়ে যেতে সক্ষম আবিল শত্রু পক্ষের রাডারের নজর ফাঁকি দিয়ে নির্ভূল ভাবে একাধিক টার্গেটে আঘাত করতে পারে। আঞ্চলিক স্তরে ব্যালিস্টিক মিসাইল ডিফেন্স সিস্টেম ক্রমশ মজবুত হচ্ছে,  পাকিস্তানের ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র সিস্টেম যাতে তার সঙ্গে পাল্লা দিতে পারে, তা সুনিশ্চিত করতেই আবাবিল অস্ত্র সিস্টেম তৈরি করা হয়েছে।

ভারত মহাসাগরের গভীরে কোনও এক অজ্ঞাত এলাকা থেকে বাবর-৩ এর পরীক্ষামূলক উতক্ষেপণ করে পাক সেনা বলেছিল, সাফল্যের সঙ্গে ফের আঘাত হানার ক্ষমতা অর্জন করল পাকিস্তান। এটা এক বড় বৈজ্ঞানিক মাইলফলক। পড়শী মহল্লায় যেভাবে পরমাণু কলাকৌশল ঘিরে সাজসাজ রব চলছে, পাকিস্তান তার পরিমিত জবাব দেওয়ার কৌশল নিচ্ছে। এটা তারই প্রকাশ।