ইসলামাবাদে ভারতীয় হাইকমিশনে ঢুকে উজমা তাঁকে ভারতের ফিরিয়ে দেওয়ার আর্জি জানান। দেশে ফেরা না পর্যন্ত সেখানেই আশ্রয় নিতে চান। হাইকোর্টেও তিনি তাঁকে ভারতে প্রত্যর্পণের আবেদন জানান। পাল্টা তাহির দাবি করেন, স্ত্রীকে তাঁর সঙ্গে দেখা করতে দেওয়া হোক।
পাক সংবাদপত্র ডন-এর খবর, দুজনের পিটিশনের শুনানির পর উজমার আর্জিতে সাড়া দেন বিচারপতি মহসিন আখতার কিয়ানি। তাঁকে আশ্বাস দেন, যখন খুশি চাইলে তিনি ভারতে ফিরে যেতে পারবেন। তাঁকে পুলিশ পাহারা দিয়ে ওয়াগা সীমান্ত পর্যন্ত নিরাপদে পৌঁছে দেবে।
শুনানির সময় বিচারপতি উজমার কাছে জানতে চান, তিনি 'স্বামী'র সঙ্গে কথা বলতে চান কিনা। কিন্তু উজমা জানিয়ে দেন, তাহিরের সঙ্গে কথা বলার ইচ্ছা নেই তাঁর।
উজমা, তাহিরের প্রথম আলাপ নাকি মালয়েশিয়ায়। আলাপ থেকে প্রেম। ওয়াগা হয়ে ১ মে পাকিস্তান যান উজমা। সেদেশে আত্মীয়স্বজনদের সঙ্গে দেখা করতেই তিনি পাকিস্তান গিয়েছেন বলে দাবি তাঁর। ৩ মে তাঁর ও তাহিরের নিকাহ হয়। কিন্তু বিয়ের পর উজমা জানতে পারেন, তাহির বিবাহিত, সন্তানও আছে।
১২ মে পাক হাইকোর্টে দিল্লি-নিবাসী, পেশায় ডাক্তার ২২ বছরের উজমা পিটিশন পেশ করেন। সেইসঙ্গে একটি মেডিকেল রিপোর্টও জমা দেন, যাতে দেখানো হয়েছে, তাঁর মেয়ে দুরারোগ্য থ্যালাসেমিয়ায় ভুগছে। সেজন্য দ্রুত তাঁকে ভারতে ফিরতে হবে।