নয়াদিল্লি: কাশ্মীরে এনকাউন্টারে ১৩ জঙ্গির মৃত্যুর পর পাকিস্তানের সুরেই ভারতকে নিশানা শাহিদ আফ্রিদির। নিজের দেশের সরকারের লাইনে হেঁটে কাশ্মীরে ভারতীয় বাহিনীর হাতে খতম সন্ত্রাসবাদীদের 'নিরপরাধ' সার্টিফিকেট দিয়েছেন তিনি।

প্রাক্তন পাকিস্তানি তারকা ক্রিকেটার ট্যুইট করেছেন, ভারত অধিকৃত কাশ্মীরে ভয়াবহ, উদ্বেগজনক পরিস্থিতি রয়েছে আত্মনিয়ন্ত্রণ, স্বাধীনতার কণ্ঠস্বর চাপা দিতে অত্যাচারী শাসককূল নিরীহদের গুলি করে মারছে। অবাক হয়ে ভাবি কোথায় গেল রাষ্ট্রপুঞ্জ, বাকি আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলি, কেন তারা এই রক্তপাত থামাতে কোনও চেষ্টা করছে না?




বেশিক্ষণ দেরী হয়নি। সঙ্গে সঙ্গেই পাল্টা মুখের মতোই জবাব দিয়েছেন ভারতীয় ক্রিকেটার গৌতম গম্ভীর। তিনি আফ্রিদিকে তীব্র কটাক্ষ করেছেন।




আফ্রিদির আগে আরেক প্রাক্তন শীর্ষ পাক ক্রিকেটার ইমরান খানও ট্যুইট করেন, নিরীহ কাশ্মীরীদের ওপর ভারতীয বাহিনীর নৃশংসতা, ভারতের দখল করা কাশ্মীরে নিরস্ত্র জনতার হত্যার তীব্র নিন্দা করছি। কাশ্মীরীদের আত্মনিয়ন্ত্রণের অধিকারের গণতান্ত্রিক সংগ্রামের পাশে আছেন পাকিস্তানের মানুষ। ভারত অধিকৃত কাশ্মীরে ভারতীয় আগ্রাসনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া উচিত রাষ্ট্রপুঞ্জের।
আমেরিকা যখন পাকিস্তানে ঘাঁটি গেড়ে থাকা হাফিজ মহম্মদ সঈদের রাজনৈতিক সংগঠনকে নিষিদ্ধ করে তাঁর পাক রাজনীতির মূল ধারায় পা রাখার চেষ্টা ভেস্তে দিতে উদ্যোগী হল, তখনই কাশ্মীরে পাক মদতপুষ্ট সন্ত্রাসবাদকে এহেন খুল্লমখুল্লা সমর্থন আফ্রিদি, ইমরানের।

১৩ সন্ত্রাসবাদী নিহত হওয়ার পরই পাক সরকার বিবৃতি দিয়ে ওদের 'নিরপরাধ' বলে প্রচার করে।যদিও বাস্তব একেবারে উল্টো। ওরা সবাই নিষিদ্ধ হিজবুল মুজাহিদিন, লস্কর-ই-তৈবার সদস্য, এমনকী ওদের দুজন গত বছর মে মাসে কাশ্মীরে লেফটেন্যান্ট উমর ফয়াজের নৃশংস হত্যায় জড়িত।
নিহত সন্ত্রাসবাদীদের হেফাজত থেকে একে ৪৭, একে ৭৪ রাইফেল সহ প্রচুর অস্ত্রশস্ত্র পাওয়া যায়। এমনকী ওদের একজনের পরিবার সেনাবাহিনীর অনুমতি নিয়ে তাকে আত্মসমর্পণের আবেদন করে।যদিও সে তাতে কর্ণপাত করেনি, উল্টে গুলি চালায়।