ইসলামাবাদ: ২০১৪ সালের পেশোয়ারে স্কুলে গণহত্যায় পাকিস্তান সামরিক আদালতে দোষী সাব্যস্ত দুই তালিবান জঙ্গিকে ফাঁসিতে ঝোলানো হল। সেদিনের হত্যাকাণ্ডে ১৫০-র বেশি নিহত হয়েছিল, যাদের বেশিরভাগই ছাত্রছাত্রী।

পাক সেনা জানিয়েছে, আত্তা উল্লাহ, তাজ মহম্মদ নামে দুই সন্ত্রাসবাদী নিষিদ্ধ তেহরিক-ই-তালিবান পাকিস্তানের সক্রিয় সদস্য, পেশোয়ারের স্কুলে নির্বিচার হামলায় সাহায্য করেছিল। পেশোয়ারের সেনা পরিচালিত স্কুলে হামলা সহ সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপ, নিরীহ মানুষের হত্যা, পাক সশস্ত্র বাহিনী ও আইন রূপায়নকারী সংস্থাগুলির ওপর হামলায় জড়িত থাকার অভিযোগ ম্যাজিস্ট্রেটের সামনে, নিম্ন আদালতে স্বীকার করেছে ওরা।

২০১৫-র ডিসেম্বর পেশোয়ারের স্কুলের শিশু নিধনযজ্ঞে জড়িত থাকায় চার সন্ত্রাসবাদীকে খাইবার-পাখতুনখোয়ার কোহাট জেলে ফাঁসি দেওয়া হয়।
প্রসঙ্গত, জানুয়ারিতে সামরিক আদালতের প্রাথমিক দু বছরের মেয়াদ শেষ হওয়ার পর মার্চে তা ফের চালু হয়। সন্ত্রাসবাদী হামলার পরে অত্যন্ত গোপনে কাজ চালায় তারা।
পেশোয়ারের জঘন্য হত্যাকাণ্ডের পরই পাক সংবিধান সংশোধন করে গঠন করা হয় ওই আদালত।

জাস্টিস প্রজেক্ট পাকিস্তান নামে এক মানবাধিকার সংগঠনের দাবি, পেশোয়ার হামলার পর থেকে ৪৪০-র বেশি লোককে ফাঁসি দেওয়া হয়েছে দেশে।