নয়াদিল্লি: জিনিসপত্রের দাম বেড়ে যাওয়ার সমস্যা মোকাবিলার সহজ পন্থা হল সংশ্লিষ্ট খাদ্যপণ্যগুলি আগের তুলনায় কম খাওয়া। এমনই উপায় বাতলে দিয়ে বিতর্কে পাকিস্তানের এক মন্ত্রী। সরকার মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ করতে না পেরে তার দায় নাগরিকদের উপর চাপিয়ে দিচ্ছে কেন, সেই প্রশ্ন তুলেছেন অনেকে।


গিলগিট-বালতিস্তান প্রদেশের এই মন্ত্রীর নাম আলি আমিন গন্দাপুর। তিনি এক অনুষ্ঠানে পাকিস্তানের মুদ্রাস্ফীতি প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে নাগরিকদের চিনি, ময়দার মতো পণ্যগুলি কম ব্যবহার করার পরামর্শ দেন। এই মন্ত্রী বলেন, ‘মানুষ যদি চায়ে চিনির ১০০ দানা দেওয়ার বদলে ৯টি দানা কম করে দেয়, তাহলে তাতে চিনি কম মিষ্টি হয়ে যাবে না।’


এই মন্ত্রী আরও বলেন, ‘দেশে যদি ৯ শতাংশ মুদ্রাস্ফীতি থাকে, তাহলে আমি কি আমার সমাজ, আমার সন্তানদের জন্য আত্মত্যাগ করতে পারব না? পাকিস্তানের স্বাধীনতার জন্য এবং আমাদের সন্তানদের দাসত্বের হাত থেকে বাঁচানোর জন্য আমাদের আত্মত্যাগ করতে হবে। এখন আপনাদেরই সিদ্ধান্ত নিতে হবে।’


পাকিস্তানের বর্তমান অবস্থার জন্য অবশ্য শাসকদেরই দায়ী করেছেন গন্দাপুর। তাঁর বক্তব্য, ‘আমাদের পূর্বপুরুষরা স্বাধীনতার জন্য অনেক আত্মত্যাগ করেছেন কিন্তু শাসকরা কিছুই করেননি। তাঁরা ঋণ নিয়ে সেই ঋণ শোধ না করেই দেশ ছেড়ে চলে গিয়েছেন।’


গত মাসে পাকিস্তান ব্যুরো অফ স্ট্যাটিস্টিক্সের পক্ষ থেকে জানানো হয়, ভোগ্যপণ্যের মুদ্রাস্ফীতি অগাস্টে ৮.৪ শতাংশ থাকলেও, সেপ্টেম্বরে বেড়ে হয়েছে ৯ শতাংশ। খাদ্যপণ্য, আবাসন এবং নির্মাণক্ষেত্রে পরিসংখ্যান বদলে যাওয়ার ফলে মাসিক মুদ্রাস্ফীতি ২.১ শতাংশ বেড়ে গিয়েছে।


এদিকে, পাকিস্তানের বিরোধী দল আওয়ামি ন্যাশনাল পার্টি ইমরান খান সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলনে নেমেছে। তারা দেশের বিভিন্ন জায়গায় অনশন আন্দোলন শুরু করেছে। তাদের দাবি, নির্বাচনের সময় ইমরান যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, ক্ষমতায় আসার পর সেই প্রতিশ্রুতি পালন করেননি।


পাখতুন ন্যাশনালিস্ট পার্টিও ইমরান সরকারের সমালোচনায় সরব। এই দলের এক নেতা গুলাম আহমেদ বিলোর বলেছেন, খাদ্যপণ্য, পেট্রোলিয়াম পণ্য এবং নিত্য প্রয়োজনীয় সামগ্রীর দাম ইমরান সরকারের আমলে প্রায় দ্বিগুণ হয়ে গিয়েছে।