ইসলামাবাদ: ভারত সীমান্তের কাছেই কৌশলগত দিক থেকে গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় সামরিক মহড়া চালাচ্ছে পাকিস্তান। ভারতের সঙ্গে তাদের সম্পর্কে উত্তেজনা ক্রমবর্ধমান। তার জেরে যে কোনওরকম পরিস্থিতি তৈরি হলে তার মোকাবিলায় সামরিক বাহিনী, বায়ুসেনা কতটা তৈরি, তা খতিয়ে দেখছেন পাক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফ ও সেনাপ্রধান জেনারেল রাহিল শরিফ।  সেজন্যই পঞ্জাব প্রদেশের বাহাওয়ালপুরে সীমান্তের কাছেই মহড়া শুরু করেছে পাক বাহিনী। সরকারি সূত্রের খবর, সেখানে নওয়াজ চিফ গেস্ট হিসাবে থাকছেন।  মহড়া দেখবেন সেনাপ্রধানও। সামরিক হেলিকপ্টার, বায়ুসেনার বিমানের পাশাপাশি পদাতিক সেনা জওয়ানরাও সামিল হবে মহড়ায়।


ঘটনাচক্রে নিয়ন্ত্রণ রেখায় ভারতীয় বাহিনীর গুলিতে ৭ পাক সেনা জওয়ানের নিহত হওয়ার কয়েকদিন বাদেই এই মহড়া চালাচ্ছে পাক সেনাবাহিনী। পাক নিরাপত্তা অফিসারদের বক্তব্য, ভারতের সঙ্গে সংঘাতের পারদ চড়তে চড়তে তুঙ্গে চলে গেলে যদি অনিবার্য জরুরি পরিস্থিতি তৈরি হয়, তাহলে তার জবাবে পাক জওয়ানরার কতটা প্রস্তুত, সেটা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

গতকালই নওয়াজ হুঁশিয়ারি দিয়েছেন, ভারতীয় 'কূটকৌশলে'র চাপে  পাকিস্তানকে দাবিয়ে রাখা যাবে না।  পাকিস্তানের সংযম বজায় রাখাকে যেন তার দুর্বলতা ভেবে 'ভুল না করা হয়'। 'যে  কোনও হঠকারী পদক্ষেপের' পাল্টা জবাব দেওয়ার ক্ষমতা রাখে তাঁর দেশও।

সাত জওয়ানের প্রাণহানিতে শোক প্রকাশ করে নওয়াজ এও বলেন, ভারতীয় বাহিনী নিয়ন্ত্রণ রেখায় যেভাবে ইচ্ছা করে উত্তেজনা বাড়িয়ে চলেছে, তা আঞ্চলিক শান্তি, সুরক্ষার পথে বিপদ। কাশ্মীরে 'ওরা যে সবচেয়ে নৃশংস অত্যাচার চালাচ্ছে, তা  থেকে গোটা দুনিয়ার নজর ঘোরাতে এটা ভারতীয় কর্তৃপক্ষের ব্যর্থ প্রয়াস' বলেও মন্তব্য করেন পাক প্রধানমন্ত্রী।