নিউ ইয়র্ক: ভারতের বাতাসে আজ যা আছে, তার বেশিরভাগটাই নির্ভেজাল আতঙ্ক, কাশ্মীরে, অন্যত্র। রাষ্ট্রসঙ্ঘে অরুন্ধতী রায়ের মন্তব্য কোট করে সুষমা স্বরাজের ভাষণের জবাব দেওয়ার চেষ্টা করল পাকিস্তান।


সাধারণত এ ধরনের প্রত্যুত্তর দেন কনিষ্ঠ বা মধ্য পর্যায়ের কূটনীতিক। কিন্তু বিদেশমন্ত্রীর চাঁচাছোলা আক্রমণের জবাবে কার্যত ছত্রভঙ্গ পাকিস্তানের হয়ে জবাব দিতে আসরে নামেন রাষ্ট্রসঙ্ঘে পাকিস্তানের স্থায়ী প্রতিনিধি মালিহা লোধি। তিনি আবার ব্যক্তি আক্রমণ শানিয়ে নরেন্দ্র মোদী ও কেন্দ্রীয় সরকারকে দাবি করেছেন ফ্যাসিস্ট আর উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথকে ফ্যানাটিক।

তাঁর অভিযোগ, মোদী সরকার জাতিবিদ্বেষী ও ফ্যাসিস্ট মতাদর্শ মেনে চলেছে, এই সরকারের নেতারা সকলে আরএসএস সদস্য, যাদের বিরুদ্ধে গাঁধী হত্যার অভিযোগ। দেশের সবথেকে বড় রাজ্য উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী পদে একজন ফ্যানাটিককে নিয়োগ করেছে তারা। এই সরকার মুসলমানের গণহত্যাকে স্বীকৃতি দিয়েছে।

ফের অরুন্ধতী রায়ের ২০১৫, নভেম্বরের একটি বিবৃতি উদ্ধৃত করে লোধির মন্তব্য, এ ধরনের ভয়ানক খুন স্রেফ একটা লক্ষণ। যাঁরা বেঁচে রয়েছেন, তাঁদের জীবনও ভারতে নরক। দলিত, আদিবাসী, মুসলিম ও খ্রিস্টানদের আতঙ্কের মধ্যে থাকতে বাধ্য করা হচ্ছে, তাঁরা জানেন না, কখন কোথা থেকে আক্রমণ আসবে।

লোধির দাবি, পাকিস্তান ভারতের সঙ্গে অর্থপূর্ণ আলোচনায় তৈরি কিন্তু তাতে কাশ্মীর প্রসঙ্গ রাখতে হবে আর সন্ত্রাস ও দমননীতি বন্ধ করতে হবে সেখানে।