নয়া দিল্লি: বিদেশ থেকে পাওয়া একাধিক দামি দামি উপহার বেচে দিচ্ছেন ইমরান খান, বুধবার এমনই অভিযোগ আনল পাকিস্তানের বিরোধী দলগুলি। শুধু তাই নয়, বিদেশি কোনও দেশপ্রধানের থেকে পাওয়া ১০ মিলিয়ন ডলারের দামি ঘড়িও বেচে দিয়েছেন পাক প্রধানমন্ত্রী। এছাড়াও ইমরান নাকি বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রনেতাদের কাছ থেকে পাওয়া উপহার বিক্রি করে দিয়েছেন।  এ অভিযোগও তুলেছে বিরোধীরা। 


দেশের হয়ে সফরকালে সংবিধানসম্মত পদে অধিষ্ঠিত রাষ্ট্রপ্রধান এবং অফিসারদের মধ্যে নিয়মিতভাবে উপহার বিনিময় হয়। নিয়ম অনুসারে, সেই সব উপহারই তোষাখানায় জমা থাকার কথা। এই উপহারগুলি খোলা নিলামে বিক্রি না হওয়া পর্যন্ত সে দেশের সম্পত্তি হিসাবে রয়ে যায়। দ্য এক্সপ্রেস ট্রিবিউন পত্রিকার খবরে বলা হয়েছে,  সাধারণ ভাবে ১০ হাজার টাকার নিচে মূল্য যে সব উপহারের সেগুলি চাইলে অবশ্য তাঁরা সঙ্গে রাখতে পারেন। বাকি উপহার তোষাখানাতেই থাকার কথা। 


আরও পড়ুন, শাহরুখের বাংলোতে এনসিবি, আরিয়ানের সঙ্গে সাক্ষাতের দিনই মন্নতে হাজির অফিসাররা


যদিও পিএমএল-এন-এর সহ-সভাপতি মরিয়ম নওয়াজ (সম্পর্কে তিনি প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফের মেয়ে) উর্দুতে টুইট করে বলেছেন, "ইমরান খান অন্যান্য দেশ থেকে পাওয়া উপহার বিক্রি করেছেন। তোষাখানা থেকে বিদেশি উপহার লুট করে বিক্রি করছেন। কেউ কীভাবে অসংবেদনশীল, বধির, বোবা এবং অন্ধ হতে পারে?" 


আরও পড়ুন, শুধু অন্যের ধর্মকে অসম্মান নয়, নিজ ধর্মকেও হেয় করা হল : হাসিনা


‘পাকিস্তান ডেমোক্র্যাটিক মুভমেন্ট’-এর প্রেসিডেন্ট মৌলানা ফজলুর রহমানও পুরো বিষয়টিকে ‘লজ্জাজনক’ উল্লেখ করেছেন। তবে, ইমরান খানের বিশেষ সহায়ক ড. শাহবাজ গিল এমন অভিযোগকে উড়িয়ে দিয়েছেন। তিনি দাবি করেছেন, ইমরান সব সময়ই তাঁর উপহারগুলি তোষাখানায় জমা দিতেন। প্রসঙ্গত, একটি উপসাগরীয় দেশের রাজপুত্র ইমরান খানকে ১০ মিলিয়ন ডলার মূল্যের একটি ঘড়ি উপহার দিয়েছিলেন। অভিযোগ সেই ঘড়িটি নাকি দুবাইতে বিক্রি করা হয়েছিল এবং প্রধানমন্ত্রীকে ১০ মিলিয়ন ডলার দেওয়া হয়েছিল।