লাহোর: সাত বছরের জইনাবের নৃশংস ধর্ষণ, হত্যায় আলোড়িত পাকিস্তান। পঞ্জাব পুলিশ এখনও তার ওপর পাশবিক অত্যাচার করা অপরাধীকে ধরতে পারেনি। এবার পাকিস্তান সুপ্রিম কোর্ট পঞ্জাব পুলিশের প্রধানকে নির্দেশ দিক, ৭২ ঘন্টার মধ্যে অপরাধীকে ধরতে হবে।
৯ জানুয়ারি আবর্জনার স্তূপে পাওয়া গিয়েছিল জইনাবের দেহ। তারপর গত দু সপ্তাহে ৮০০ সন্দেহভাজনের ডিএনএ পরীক্ষা হয়েছে। কিন্তু অপরাধী অধরাই।
পঞ্জাব পুলিশকে এজন্য কঠোর তিরস্কার করেছেন পাকিস্তানের প্রধান বিচারপতি মিয়া সাকিব নিসার। লাহোর রেজিস্ট্রিতে হওয়া শুনানিতে হাজির ছিলেন ২০১৫ থেকে পঞ্জাবের কাসুরে ধর্ষণের পর খুন হওয়া আটটি মেয়ের অভিভাবকরা। তাঁরাও ন্যয়বিচার দাবি করেন।
বিচারপতি নিসার বলেন, একটি অসহায় মেয়ের ওপর ভাষায় প্রকাশ করা যায় না, এমন অত্যাচার চালানো হয়েছে।
গত ৫ জানুয়ারি লাহোর থেকে প্রায় ৫০ কিমি দূরে কাসুর শহরের বাসিন্দা জইনাব বাড়ির সামনে পড়ার ক্লাসে বেরিয়ে নিখোঁজ হয়ে যায়। তার বাবা-মা তখন উমরা করতে সৌদি আরবে ছিলেন। জইনাব ছিল মামীর কাছে। অপহরণের পর সিসিটিভি ফুটেজে একটি অপরিচিত লোকের সঙ্গে জইনাবকে হেঁটে যেতে দেখা যায়। কিন্তু পুলিশ তার অপহরণকারীকে চিহ্নিত করতে পারেনি। অটোপসি রিপোর্টে পরিষ্কার, জইনাবকে ধর্ষণ করে ফাঁস দিয়ে মেরে ফেলা হয়েছে।
কাসুরে গত এক বছরে এমন ১২টি ঘটনা সামনে এসেছে।
৮০০ সন্দেহভাজনের ডিএনএ পরীক্ষা করা হয়েছে বলে এক পুলিশ অফিসার জানালে প্রধান বিচারপতি বলেন, পুলিশ একই পথে তদন্ত চালিয়ে যাচ্ছে, অপরাধীদের ধরতে ডিএনএ পরীক্ষায় আটকে থাকলে চলবে না, তদন্তের পরিধি বাড়াতে হবে। তদন্ত এভাবে এগোলে তো ২ কোটির বেশি দেশবাসীর ডিএনএ পরীক্ষা করতে হবে!