ইসলামাবাদ: গত মাসের পুলওয়ামা সন্ত্রাসে জইশ-ই-মহম্মদের জড়িত থাকার ব্যাপারে ভারতের কাছে আরও তথ্যপ্রমাণ চাইল পাকিস্তান। ১৪ ফেব্রুয়ারি সিআরপিএফের কনভয়ে আত্মঘাতী বিস্ফোরণের দায় নেয় পাকিস্তানে আশ্রয় পাওয়া মাসুদ আজহারের সন্ত্রাসবাদী গোষ্ঠী। সেই নাশকতার বলি হন কমপক্ষে ৪০ জন জওয়ান। কিন্তু পাকিস্তান জয়েশের হাত থাকার তত্ত্ব মানতে নারাজ। বুধবার ইসলামাবাদে পাকিস্তানে নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার অজয় বিসারিয়াকে পাক বিদেশমন্ত্রকে ডেকে পাঠিয়ে তাদের বিদেশসচিব তেহমিনা জাঞ্জুয়া তাঁর সঙ্গে ‘পুলওয়ামার ঘটনা’র ব্যাপারে ‘প্রাথমিক তদন্তে পাওয়া তথ্য’ শেয়ার করেন। পাকিস্তানি বিদেশমন্ত্রক পুলওয়ামার নৃশংস নাশকতাকে নিছকই একটি ‘ঘটনা’ বলে উল্লেখ করেছে।
পাকিস্তানের মাটিতে রাষ্ট্রপুঞ্জের নিষিদ্ধ করা জঙ্গি গোষ্ঠী জয়েশের শিবিরের অস্তিত্বের ব্যাপারেও ভারতের কাছে আরও তথ্য দাবি করেছে ইসলামাবাদ।
পাক বিদেশমন্ত্রক এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, ভারত পুলওয়ামা সন্ত্রাসের ব্যাপারে যে ডসিয়ার বা তথ্যপঞ্জি দিয়েছিল, সেসব পরীক্ষা করেই প্রাথমিক তদন্তে পাওয়া তথ্য ভারতকে দেওয়া হল।
গত ২৭ ফেব্রুয়ারি নয়াদিল্লিতে অস্থায়ী পাক হাইকমিশনারের হাতে তথ্যপঞ্জি তুলে দেয় ভারত, যাতে পুলওয়ামা হামলায় জইশের যোগসাজশের সুস্পষ্ট নথিপত্র, পাকিস্তানে জইশের ঘাঁটি, তার নেতাদের উপস্থিতির প্রমাণও দেওয়া ছিল। পাক বিদেশমন্ত্রকের আজকের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, এই প্রক্রিয়াকে এগিয়ে নিয়ে যেতে আমরা ভারতের কাছে আরও নথি, তথ্যপ্রমাণ চেয়েছি।
পাক বিবৃতিতে এও বলা হয়, প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানই ভারত ‘বিশ্বাসযোগ্য তথ্যপ্রমাণ’ দিলে তদন্তে সহযোগিতার প্রস্তাব দিয়েছেন। এর প্রতিক্রিয়াতেই পাকিস্তানের হাতে একটি কাগজ দেওয়া হয়েছিল। পাকিস্তান চূড়ান্ত দায়িত্বশীলতার সঙ্গেই পদক্ষেপ করেছে, পূর্ণ সহযোগিতা করেছে বলে বিবৃতিতে দাবি করা হয়। বলা হয়, আঞ্চলিক নিরাপত্তা, শান্তির স্বার্থেই আমরা এমনটা করে থাকি।