ইসলামাবাদ: স্ত্রীর চেষ্টা শেষ পর্যন্ত বিফলেই গেল। পাকিস্তানে খুনের মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত মানসিক ভারসাম্যহীন এক ব্যক্তির প্রাণভিক্ষার চূড়ান্ত আবেদনও খারিজ হয়ে গেল সে দেশের সুপ্রিম কোর্টে। জাস্টিস প্রজেক্ট পাকিস্তান নামে এক সংগঠন বলেছে, দোষী সাব্যস্ত মানসিক প্রতিবন্ধী ইমদাদ আলির মৃত্যু পরোয়ানা জারি করেছে দায়রা আদালত, পঞ্জাব সরকারের আবেদনে। ২ নভেম্বর মৃত্যুদণ্ডের রায় কার্যকর করা হবে।


একটি গুলিচালনার ঘটনায় ২০০১ সালে মৃত্যুদণ্ডের সাজা হয় ইমদাদের। ঠিক ছিল, সাজা কার্যকর হবে ২৬ জুলাই। কিন্তু ইমদাদের স্ত্রী লাহোর হাইকোর্টে রিট পিটিশন পেশ করে স্বামীর ফাঁসি পিছিয়ে দেওয়ার আর্জি জানান। তাঁর বক্তব্য, স্বামী প্যারানয়েড স্কিজোফ্রেনিয়ায় আক্রান্ত । তাঁকে যেন এখন ফাঁসিতে ঝোলানো না হয়। কিন্তু ২৩ আগস্ট সেই আর্জি নাকচ হয়ে যাওয়ায় বাধ্য হয়ে তিনি সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন। যদিও তাঁকে হতাশ করে গত সপ্তাহে পাক সুপ্রিম কোর্টও রায় দেয়, মানসিক স্বাস্থ্য সংক্রান্ত আইনে স্কিজোফ্রেনিয়াকে মানসিক রোগ বলা যায় না। তাই মৃত্যুদণ্ড বন্ধ রাখা যাবে না।

১৯৭৬ সালের অমৃত ভিসান গুপ্তা বনাম ভারত সরকার মামলার ওই রায়ে স্কিজোফ্রেনিয়ার শিকার এক ব্যক্তির ফাঁসির সাজা রদের আর্জি খারিজ করে দিয়েছিল ভারতের শীর্ষ আদালত। উল্লেখ করার ব্যাপার হল, এক্ষেত্রে ভারতের সুপ্রিম কোর্টের সেই রায় হাতিয়ার করেছে পাক সর্বোচ্চ আদালত।

ইমদাদের ফাঁসির রায় প্রয়োগ মানবিক কারণে স্থগিত রাখা হোক, অভ্যন্তরীণ মন্ত্রককে এহেন পরামর্শ দিয়ে চিঠি দিয়েছে পাক মানবাধিকার মন্ত্রক। মানসিক অসুস্থ বন্দিদের ফাঁসি নিষিদ্ধ ঘোষণা করে চালু নানা আন্তর্জাতিক বোঝাপড়ায় সই করেছে পাকিস্তানও।

এদিকে গত ১৯ সেপ্টেম্বর খোদ পাক প্রেসিডেন্ট মামনুন হুসেনকেও ক্ষমাভিক্ষা পিটিশন দিয়েছেন ইমদাদের পরিবারের লোকজন, তার আইনজীবীরা। যদিও এ ব্যাপারে কোনও সিদ্ধান্ত নেয়নি প্রেসিডেন্টের কার্যালয়।