ইসলামাবাদ ও শ্রীনগর: সুঞ্জুয়ান সেনা শিবিরে জঙ্গি হামলার প্রেক্ষিতে সীমান্ত পেরিয়ে সামরিক অভিযানের সিদ্ধান্ত নিলে ভুল করবে ভারত। এমনটাই জানাল পাকিস্তান।


গত শনিবার, জম্মুর সুঞ্জুয়ান সেনা শিবিরে হামলা চালায় জঙ্গিরা। ওই হামলায় ৬ সেনা জওয়ানের মৃত্যু হয়। এঁদের মধ্যে একজনের ছেলেও সেনায় রয়েছেন। আহত হন মহিলা, শিশু সহ আরও ১০ জন। ভারত জানায়, এই হামলার নেপথ্যে রয়েছে পাক-মদতপুষ্ট জঙ্গি সংগঠন জয়েশ-ই-মহম্মদ।


ভারতের এই বিবৃতির সমালোচনা করে পাকিস্তান। ইসলামাবাদের অভিযোগ, পূর্ণ তদন্ত না করেই ভারত এধরনের সিদ্ধান্তে পৌঁছে গিয়েছে। এদিন পাক বিদেশমন্ত্রকের তরফে বলা হয়, ভারতীয় আধিকারিকরা বরাবরই এধরনের ভিত্তহীন অভিযোগ লাগিয়ে দায়িত্বজ্ঞানহীন মন্তব্য করে থাকেন।


পাক বিদেশমন্ত্রকের দাবি, কাশ্মীরে সশস্ত্র আন্দোলন দমাতে যে নির্মমতা চালাচ্ছে ভারত, তা থেকে সকলের দৃষ্টি ঘোরানোর জন্যই এধরনের মন্তব্য করছে তারা। একইসঙ্গে, জঙ্গি হামলার পর ভারতীয় ফৌজের যে কোনও সীমান্ত পেরিয়ে সামরিক অভিযানের বিরুদ্ধে হুঁশিয়ারি দেয় পাকিস্তান।


পাক বিদেশমন্ত্রকের তরফে বলা হয়েছে, আশা করি কাশ্মীরে মানবাধিকার লঙ্ঘন বন্ধ করতে ও সীমান্ত পেরিয়ে কোনওরকম অভিযান না চালাতে ভারতকে অনুরোধ করবে আন্তর্জাতিক মহল। প্রসঙ্গত, ২০১৬ সালে উরির সেনা শিবিরে জঙ্গি হামলার পর সীমান্ত পেরিয়ে সার্জিকাল স্ট্রাইক চালিয়ে ১৮ জঙ্গির নিকেশ করে ভারতীয় ফৌজ।


পাকিস্তানের বিরুদ্ধে দীর্ঘদিন ধরেই জঙ্গিদের প্রশিক্ষণ, অস্ত্র সরবরাহ থেকে শুরু করে সবরকমের সহযোগিতা দেওয়ার অভিযোগ জানিয়ে আসছে ভারত। নয়াদিল্লির দাবি, সশস্ত্র জঙ্গিদের নিয়ন্ত্রণরেখা পেরিয়ে এদেশে অনুপ্রবেশ করতে সাহায্য করে  চলেছে পাক সেনা।


যদিও, পাকিস্তান যাবতীয় অভিযোগ খারিজ করেছে। তাদের দাবি, ইসলামাবাদ কেবলমাত্র কাশ্মীরিদের কূটনৈতিক ও নৈতিক সমর্থন জানিয়ে এসেছে।