করাচি: মাদ্রাসার নাবালক পড়ুয়াকে পিটিয়ে হত্যার অভিযাগে পাকিস্তানে গ্রেফতার মৌলবি।
এক শীর্ষ পুলিশ অফিসার জানিয়েছেন, বিন কাসিম টাউনের মাদ্রাসা থেকে মহম্মদ হুসেইন নামে আট বছরের ছেলেটি আগেও পালিয়ে গিয়েছিল। বাবা-মা ফিরিয়ে এনে আবার মাদ্রাসায় পাঠিয়ে দেন তাকে। দৈহিক শাস্তি পেতে হয়। তবে এবার পালাতে গিয়ে সে ধরা পড়ে যায় মৌলবির হাতে। কারি নিজামুদ্দিন নামে ওই মৌলবির ক্রোধ, রোষের হাত থেকে নিষ্কৃতি পায়নি হতভাগ্য মহম্মদ। তাকে কোনও ভোঁতা, ধাতব বস্তু দিয়ে আঘাত করে, লাঠিপেটাও করে নিজামুদ্দিন। শেষ পর্যন্ত মারাই যায় সে। শরীরে মারের দাগ রয়েছে।
যদিও মহম্মদের বাবা-মা ছেলের দেহের ময়না তদন্ত করাতে দেননি।
নাজিমুদ্দিনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে পুলিশ।
পাকিস্তানের প্রায় সর্বত্র ব্যাঙের ছাতার মতো গজিয়ে উঠেছে অজস্র ধর্মীয় শিক্ষাকেন্দ্র। গরিব বাবা-মায়েরা স্কুলে সন্তানদের পড়ানোর সামর্থ্য না থাকায় বাধ্য হয়ে ইসলামিক গোষ্ঠীগুলি পরিচালিত মাদ্রাসায় পাঠিয়ে দেন।
সাম্প্রতিক অতীতে কিছু মাদ্রাসা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে তাদের বিরুদ্ধে পড়ুয়াদের মগজ ধোলাই করে কট্টরপন্থী মতবাদ, সন্ত্রাসবাদের দিকে ঠেলে দেওয়ার অভিযোগ ওঠার পর।
একটি পাকিস্তানি টিভি চ্যানেল এও দেখিয়েছিল, সোহরাব গথ এলাকায় একটি মাদ্রাসায় সাজা দিতে পড়ুয়াদের পায়ে শিকল পরিয়ে রাখা হয়েছে।