কোয়েটা: ৩৫টা বাচ্চা ইতিমধ্যেই পৃথিবীর আলো দেখেছে। কিন্তু উদ্যম এতটুকু কমেনি পাকিস্তানের সর্দার জান মহম্মদ খিলজির। তিন তিনটে বিয়ে অলরেডি সারা। এবার জান মহম্মদ তাঁর চতুর্থ পত্নী খুঁজছেন। আরও ৬৫টাকে জন্ম দিতে হবে না?

হ্যাঁ, পেশায় স্বাস্থ্যকর্মী ৪৬ বছরের জান মহম্মদের জীবনের লক্ষ্য, ১০০ ছেলেমেয়ের বাবা হওয়া। কারণ এটা নাকি তাঁর ধর্মীয় কর্তব্য। থাকেন বালুচিস্তানের কোয়েটার এক গন্ডগ্রামে পাঁচ বেডরুমের মাটির কুঁড়েতে। সেখানেই গাদাগাদি করে থাকেন ৩ বউ আর ৩৫ ছেলেমেয়ে। চতুর্থ নিকার পর নতুন বিবি এখানেই এসে উঠবেন আর ৬৫ বাচ্চার টার্গেট মিট করতে লেগে পড়বেন। জান মহম্মদের অবশ্য দাবি, বিবিরা সকলেই তাঁর ব্যবহারে খুব খুশি, তাঁরাও চান, কোরান হাদিস মেনে বাড়ি বাচ্চায় বাচ্চায় ভরে যাক। তবে বিবিদের সঙ্গে অবশ্য সংবাদমাধ্যমকে দেখা করার অনুমতি দেননি তিনি।

এত যে বাড়িময় বাচ্চা, কোনটার কী নাম মনে রাখতে সমস্যা হয় না? জান সাহেবের সমাধান খুব সোজা, বিয়ে বা ও রকম কোনও নেমন্তন্ন বাড়িতে তিনি ছেলেমেয়ে আর বউদের ঘুরিয়ে ফিরিয়ে নিয়ে যান। তাহলে সবকটাকে নিয়ে ঘোরাও যায়, ভালবাসাও দেখানো যায় আর নামটামও মনে থাকে।

পাকিস্তানে অবশ্য চার বিবি নতুন কিছু নয়। এখানে বহুবিবাহ আইনস্বীকৃত। সমীক্ষায় বলছে, স্বামী একের বেশি বিয়ে করলে স্ত্রী, সন্তানদের মধ্যে হতাশার জন্ম নেয়। বাবার সঙ্গে দেখাই হয় না ছেলেমেয়েদের। জানের অবশ্য ভাগ্য ভাল। তাঁর দুই সন্তান তাঁর পাশেই দাঁড়িয়েছে। বড় মেয়ে ১৫ বছরের সাগুফতা নাসরিন বলেছে, বড় পরিবার ভালই তো, যেন আল্লাহর দেওয়া এক ঝুড়ি আম, তাই না?