পাক প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের এক কর্তা বলেছেন, গতরাতে দুই শরিফের আলোচনায় কাশ্মীরের বর্তমান পরিস্থিতি উঠেছে। উরিতে সন্ত্রাসবাদী হানায় ১৮ ভারতীয় জওয়ান নিহত হওয়ার পর ভারত-পাকিস্তান সম্পর্কে থমথমে পরিস্থিতি তৈরি হওয়ার ব্যাপারে তাঁদের কথা হয়।
কাশ্মীর নিয়ে রাষ্ট্রপুঞ্জে মুখ খুলে ভারতকে চাপে ফেলবেন, এমনটাই ভাবনা ছিল শরিফের।কিন্তু উরি হামলার পর সীমান্ত সন্ত্রাসবাদের ইস্যুটি ফের সামনে চলে আসায় পরিস্থিতি বদলে গিয়েছে। শরিফের দপ্তরের অফিসারটি বলেন, ভাষণে ভারসাম্য রাখার চেষ্টা করতে পারেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি কাশ্মীরে ভারতের অত্যাচারের কথা বললেও উত্তেজনা প্রশমনে সমঝোতার বার্তাও দিতে পারেন। রাষ্ট্রপুঞ্জে গৃহীত প্রস্তাব রূপায়ণে জোর দেওয়া সহ কাশ্মীর ইস্যু মেটানোর ব্যাপারে তিনি কোনও প্রস্তাব দিতে পারেন, আন্তর্জাতিক মহলকে মধ্যস্থতার ভূমিকা পালনের ডাকও শোনা যেতে পারে তাঁর মুখে। যদিও এ সবই জল্পনা। উরি হামলার পর পাক প্রধানমন্ত্রী ও সেনাপ্রধানের প্রথম আলোচনা নিয়ে কোনও সরকারি বিবৃতি দেওয়া হয়নি।
পাক সংবাদ চ্যানেল জিও টিভি জানিয়েছে, উরির ঘটনার পরের পরিস্থিতি যে কতখানি গুরুতর, তা ওই দুজনের কথাবার্তা থেকেই পরিষ্কার।
ভারত পাকিস্তানের দিকে আঙুল তুলেছে উরি হামলার পর। ভারতের ডিজিএমও লেফটেন্যান্ট জেনারেল রণবীর সিংহ দাবি করেছেন, সন্ত্রাসবাদী অভিযানে চালিয়ে খতম হওয়া চার জঙ্গির কাছে যেসব সামগ্রী ছিল, সেগুলির গায়ে পাকিস্তানি ছাপ্পা রয়েছে।