রাষ্ট্রপুঞ্জ: রাষ্ট্রপুঞ্জের সেক্রেটারি জেনারেল আন্তোনিও গুয়েতেরেসকে ফোন করে কাশ্মীর ইস্যু তুলেছেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। গুয়েতেরেসের মুখপাত্র স্টিফেন দুজারিক এ কথা জানালেও দুজনের কী কথা হয়েছে, সে ব্যাপারে বিস্তারিত জানাননি।
পাক প্রধানমন্ত্রী সেক্রেটারি জেনারেলের সঙ্গে কথা বলতে চেয়েছিলেন বলে জানিয়ে দুজারিক বলেন, সেক্রেটারি জেনারেল রাষ্ট্রপ্রধান ও সরকারের প্রধানদের সঙ্গে কথা বলবেন, এটাই স্বাভাবিক। আমি শুধু নিশ্চিত করে বলতে পারি যে, ওঁদের কথা হয়েছে এবং প্রধানমন্ত্রী কাশ্মীর প্রসঙ্গ তুলেছেন।
পাকিস্তানের নিজের চরকায় তেল দেওয়া উচিত এবং কাশ্মীর ভারতের অবিচ্ছেদ্য অংশ, ইমরানকে নয়াদিল্লির তরফে এটা স্পষ্ট বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়ে দুজারিকের বক্তব্য জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, কাশ্মীর প্রশ্নে আমাদের অবস্থান বারবার বলা হয়েছে। নিরাপত্তা পরিষদের সিদ্ধান্ত মতো অবজারভার গোষ্ঠী রয়েছে সেখানে। ভারত ও পাকিস্তানে রাষ্ট্রপুঞ্জের সামরিক পর্যবেক্ষক গোষ্ঠীর প্রতি ইঙ্গিত করেন তিনি।
প্রসঙ্গত, সম্প্রতি কয়েকটি ট্যুইটে ইমরান লেখেন, কাশ্মীরীদেরই নিজেদের ভবিষ্যত স্থির করার অধিকার দিতে হবে। ভারতের বিরুদ্ধে ওঠা মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ রাষ্ট্রপুঞ্জে তুলবে পাকিস্তান। পাল্টা প্রতিক্রিয়ায় বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র রভিশ কুমার জানান, ওই তরফের বক্তব্যে ওদের দ্বিচারিতা, আন্তরিকতার অভাব স্পষ্ট।
১৯৪৯ সালে গঠিত হয় রাষ্ট্রপুঞ্জের সামরিক পর্যবেক্ষক গোষ্ঠী। বর্তমানে তাতে আছে রাষ্ট্রপুঞ্জ ও অসামরিক কর্মী মিলিয়ে ১১৮ জন । ১৯৭১-এর ভারত-পাক যু্দ্ধ ও তারপর সে বছরের ১৭ ডিসেম্বর যুদ্ধবিরতি চুক্তি স্বাক্ষর হওয়ার পর রাষ্ট্রপুঞ্জের সামরিক পর্যবেক্ষক গোষ্ঠীর কাজ যুদ্ধবিরতি ঠিকঠাক পালন হচ্ছে কিনা, সেই সংক্রান্ত ঘটনাবলী, পরিস্থিতি যতটা সম্ভব নজরে রাখা ও সেক্রেটারি জেনারেলকে রিপোর্ট দেওয়া।
কিন্তু সিমলা চুক্তি ও তারপর নিয়ন্ত্রণ রেখা প্রতিষ্ঠার পর ওই গোষ্ঠী প্রাসঙ্গিকতা হারিয়েছে, তার আর থাকার দরকার নেই বলে বরাবর বলে আসছে ভারত।