ইতালির অভ্যন্তরীণ মন্ত্রী অ্যাঞ্জেলিনো আলফানো বলেছেন, ফারুক আইএস-এর সমর্থক। তিনি সিরিয়ায় গিয়ে এই জঙ্গিগোষ্ঠীতে যোগ দেওয়ার কথা ভাবছিলেন। মিলানের একটি পানশালা এবং উত্তর ইতালির বেরগামো বিমানবন্দরে জঙ্গি হামলা চালানো নিয়ে বিভিন্ন ব্যক্তির সঙ্গে আলোচনাও করছিলেন ফারুক। তিনি কালাশনিকভ ও বিস্ফোরক ব্যবহার করার কথা বলছিলেন। সেই কথোপকথনের প্রমাণ পাওয়া গিয়েছে।
ফারুকের জঙ্গি-যোগের খবরে হতবাক কিংসগ্রোভ মিলানো ক্রিকেট ক্লাবের সভাপতি ফ্যাবিও মারাবিনি। তিনি দীর্ঘদিন ধরে ফারুককে দেখছেন। ফ্যাবিও-র মতে, ফারুক সবসময় অন্যদের সাহায্য করতেন। কোনওদিন কারও ক্ষতি করেননি। সেই কারণেই এই খবর তিনি এখনও বিশ্বাস করতে পারছেন না। ফারুক ইসলামাবাদের বিমানে ওঠার আগেও তাঁর সঙ্গে কথা হয়েছে। দীর্ঘদিন পাকিস্তানের সঙ্গে কোনও যোগাযোগ নেই ফারুকের। সেই কারণে তিনি ইসলামাবাদে যাওয়ার আগে উদ্বিগ্ন ছিলেন বলেও দাবি করেছেন ফ্যাবিও।
ক্রিকেট খেলা ছাড়াও একটি ক্রীড়া সরঞ্জাম বিক্রেতা সংস্থায় কাজ করতেন ফারুক। অবসর সময়ে তিনি স্নো-বোর্ডিং করতেন এবং অক্ষম ব্যক্তিদের বাস চালাতেন। তবে প্রতিবেশী ও বন্ধুরা বলেছেন, সম্প্রতি ফারুক অনেক বদলে গিয়েছেন। স্ত্রীকে সবসময় বোরখা পরে থাকতে বাধ্য করতেন। তাঁকে মারধরও করতেন।
ফারুকের পরিবারের লোকেরা অবশ্য তাঁর বিরুদ্ধে এই অভিযোগ মানতে নারাজ। তাঁরা ইউরোপের মানবাধিকার আদালতের দ্বারস্থ হওয়ার কথা জানিয়েছেন।