কয়েকদিন আগে কাশ্মীরের কাঠুয়া জেলায় মনোয়ারি গ্রামের একটি বাড়িতে এসে বসে একটি পায়রা। বাড়ির বাসিন্দা এক মহিলার নজরে পড়ে পায়রাটির পায়ে একটি রিং বাঁধা। তাতে লেখা ছিল একটি কোড। পায়রাটিকে ধরার পরই প্রশাসনের স্থানীয় আধিকারিকদের তত্পরতা শুরু হয়। বিষয়টি সংবাদমাধ্যমেও প্রকাশিত হয়। এরই মধ্যে পাকিস্তানের এক গ্রামের এক বাসিন্দার দাবি, সেটি তাঁর পোষা পায়রা। হবিবুল্লা নামে সীমান্তের ওপারের গ্রাম বগ্গা-শকরগড়ের বাসিন্দার দাবি, তাঁর জোড়া পায়রা ছিল। সেগুলির একটি সীমানা পেরিয়ে চলে যায়। হবিবুল্লার দাবি, ওটা আমার পোষা পায়রা। ওই পায়রা সন্ত্রাসবাদী নয়, চরও নয়।
সোশ্যল মিডিয়ায় হবিবুল্লা ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির কাছে ওই পায়রা ফিরিয়ে দেওয়ার আর্জি জানিয়েছেন। ভিডিও বার্তায় তিনি বলেছেন, মোদি সাহেব, আমাকে আমার পায়রা ফিরিয়ে দিন। আমার খুব আদরের ও। আমার পরিবারের সদস্যের মতো। ওকে আমি খুব ভালোবাসি।
উল্লেখ্য, পাকিস্তান থেকে এভাবে সীমানা পেরিয়ে পায়রার ভারতে উড়ে চলে আসার ঘটনা এই প্রথম নয়। ২০১৫-তেও একটি পায়রা ধরা পড়েছিল। ২০১৬-র অক্টোবরেও একটি পায়রা ধরা পড়েছিল। সেটির সঙ্গে ভারতের প্রধানমন্ত্রীকে হুমকি দিয়ে লেখা একটি নোট পাওয়া গিয়েছিল।