প্যারিস: ফরাসি প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ৩ দিন আগে ফের সন্ত্রাস-বিদ্ধ প্যারিস। জঙ্গি হানায় নিহত পুলিশ কর্মী, গুলিবিদ্ধ বেশ কয়েকজন। ফিরল ইসলামিক স্টেটের লোন উলফ হামলার আতঙ্ক।
ঘটনা ঘটে স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার রাত ৯টা নাগাদ। প্যারিসের পর্যটকপ্রিয় রাজপথ শঁজে লিজেতে তখন অফিস ফেরত মানুষের ভিড়। গাছ-গাছালি ভরা আলো ঝলমলে ফুটপাথ দিয়ে নিশ্চিন্তে হাঁটছেন তরুণ-তরুণীরা।
আচমকা শোনা যায় মুহূর্মুহূগুলির শব্দ। আতঙ্কে দিগবিদিক জ্ঞানশূন্য হয়ে দৌড়তে শুরু করেন পথচারীরা। তখনই ঘটনাস্থলে পৌঁছয় ফরাসি পুলিশের একটি গাড়ি। প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবি, বন্দুক হাতে এক ব্যক্তি পুলিশের গাড়ি লক্ষ্য করে গুলি চালাতে শুরু করে। গুলিবিদ্ধ হয়ে ঘটনাস্থলেই প্রাণ হারান ১ পুলিশ কর্মী। আহত হন বেশ কয়েকজন।

কিছুক্ষণের মধ্যেই ফরাসি পুলিশের আরও কয়েকটি টহলদার বাহিনী ঘটনাস্থলে পৌঁছয়। শুরু হয় পুলিশ-জঙ্গি গুলির লড়াই। কিছুক্ষণের মধ্যেই পিছু হটে হামলাকারী। পালানোর সময় পুলিশের গুলিতে তার মৃত্যু হয়। এই হামলার ঘণ্টাখানেকের মধ্যেই দায় স্বীকার করে ইসলামিক স্টেট।
পুলিশ সূত্রে খবর, হামলাকারী আবু ইউসুফ বেলজিয়ামের নাগরিক। যার বিরুদ্ধে ফরাসি পুলিশের হাতে একাধিক তথ্য রয়েছে। পূর্ব প্যারিসে আবু ইউসুফের বাড়িতে তল্লাশি চলছে।
ফরাসি প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের তিন দিন আগে এই হামলার ঘটনায় গোটা ফ্রান্স জুড়ে হাই অ্যালার্ট জারি করা হয়েছে। সন্দেহভাজনদের ওপর চলছে নজরদারি।
এদিনের ঘটনার তীব্র নিন্দায় সরব বিশ্বের বিভিন্ন দেশ। আইএস নিকেশের ডাক দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মে।
২০১৫ থেকে ফ্রান্সে পরের পর জঙ্গি হামলার ঘটনা ঘটেছে। ২০১৫-র ১৩ নভেম্বর প্যারিসের ৬ জায়গায় পরপর জঙ্গি হামলা হয়। মৃত্যু হয় প্রায় ১৫৩ জনের। জখম ৩০০-রও বেশি।
২০১৬-র ১৪ জুলাই ফরাসি শহর নিসে ট্রাক নিয়ে গণহত্যা চালায় ১ আইএস জঙ্গি। ৮৬ জনের মৃত্যু হয়। আহত হন প্রায় ৪০০ জন।