কসাবের সঙ্গে কুলভূষণের তুলনা টেনে একটি পাক টিভি চ্য়ানেলকে দেওয়া সাক্ষাত্কারে প্রাক্তন পাক প্রেসিডেন্ট ও প্রাক্তন সেনাপ্রধানের মন্তব্য, কসাব ছিল নিছকই দাবার বোড়ে, অন্যের হাতে ব্যবহৃত পুতুল। কিন্তু যাদব তো সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপের জন্য কয়েক ডজন লোক লাগিয়েছে! তাহলে কে বড় অপরাধী ওদের দুজনের মধ্যে? অবশ্যই যাদব। পাকিস্তানে কত মানুষের মৃত্যুর জন্য যে ও দোষী, আমার জানা নেই।
প্রসঙ্গত, ২০০৮-এর ভয়াবহ মুম্বই হামলা ঘটানোর জন্য একমাত্র জীবিত হিসাবে ধরা পড়া কসাবকে অপরাধী সাব্যস্ত করে ফাঁসি দেওয়া হয়েছে।
কুলভূষণের মৃত্যুদণ্ডে স্থগিতাদেশ দিয়েছে আন্তর্জাতিক ন্যায় আদালত (আইসিজে)।
মুশারফের বক্তব্য, ভারতের আইসিসিজে-র দ্বারস্থ হওয়াটা যেমন ভুল হয়েছে,পাকিস্তানেরও সেখানে যাওয়া উচিত হয়নি। চরবৃত্তি, অন্তর্ঘাত ঘটানোর মতো বিষয়গুলি পাকিস্তানের অভ্যন্তরীণ ইস্যু, এ নিয়ে অন্য কারও পাকিস্তানকে উপদেশ দেওয়ার অধিকারই নেই।
মুশারফ বলেন, দুজন জার্মান নাগরিকের মৃত্যুদণ্ডের ওপর আইসিজে সাময়িক স্থগিতাদেশ দিলেও ১৯৯৯ সালে তাদের ফাঁসিতে ঝোলায় আমেরিকা। সুতরাং রাষ্ট্রপুঞ্জ, আন্তর্জাতিক ন্যায় আদালতের মতো বিশ্বস্তরের সংস্থাগুলি আসলে ঠুঁটো জগন্নাথ। ওরা যা-ই নির্দেশ দিক, তাকে পাত্তাই দেয় না কিছু দেশ।
গত এপ্রিলেই পাকিস্তানের সেনাপ্রধান জেনারেল কামার জাভেদ বাজওয়া চরবৃত্তির দায়ে দোষী সাব্যস্ত কুলভূষণকে ফাঁসির সাজায় সিলমোহর দেন। এই পদক্ষেপকে ''প্রহসন'' আখ্যা দিয়ে ভারত জানিয়ে দেয়, কুলভূষণ চর নন, নৌবাহিনী থেকে অবসর নিয়ে ব্যাবসার সূত্রে ইরানে গিয়েছিলেন। সেখান থেকেই তাঁকে অপহরণ করে পাকিস্তানে নিয়ে যাওয়া হয়। নয়াদিল্লির তরফে বারবার কুলভূষণের সঙ্গে ভারতীয় কনস্যুলেটের কর্তাদের যোগাযোগ করার অনুমতি চাওয়া হলেও পাকিস্তান তা খারিজ করে ভিয়েনা কনভেনশন লঙ্ঘন করেছে, অভিযোগে আইসিজে-তে আবেদন করে ভারত।