ওসমান সালিহ নামে এক ফেসবুক ইউজার ওই রুগ্ন সিংহগুলিকে নিয়ে বিস্তারিত তথ্য, ছবি শেয়ার করে লোকজন ও সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলির কাছে পশুগুলির সাহায্যে এগিয়ে আসার আর্জি জানিয়েছেন। সিংহগুলির ওই রুগ্ন দশার ছবি সঙ্গে সঙ্গে সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়ে এবং তাদের দুরবস্থা খতিয়ে দেখতে পার্কে এসেছেন বহু স্বেচ্ছাসেবী।
একটি ফেসবুক পোস্টে সালিহ জানিয়েছেন, দাতারা সিংহগুলির জন্য তাজা মাংস এনেছেন। সেইসঙ্গে অ্যান্টিবায়োটিকস ও আইভি ড্রিপসও যোগাড় হচ্ছে।
সালিহর পোস্টগুলির কমেন্টস সেকশনে নেটিজেনরা সিংহগুলিকে বাঁচানোর উদ্যোগ গ্রহণের জন্য তাঁর প্রশংসা করেছেন এবং তাঁকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন। এক ইউজার লিখেছেন, আপনার প্রচেষ্টা প্রকৃতপক্ষে দৃষ্টান্তমূলক। আবার অনেকেই সিংহগুলির অবস্থা সম্পর্কে প্রত্যেকদিন তথ্য দেওযার জন্য সালিহকে অনুরোধ জানিয়েছেন।
পার্কের আধিকারিক ও পশু চিকিত্সকরা বলেছেন, গত কয়েক সপ্তাহ ধরে সিংহগুলির শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটেছে। কয়েকটি সিংহের ওজন প্রচুর কমে গিয়েছে।
পার্কের ম্যানেজার এসামেলদ্দিন হজ্জরের গলায় ফুটে উঠেছে চূড়ান্ত হতাশা। সংবাস্থসংস্থাকে তিনি বলেছেন, ওদের জন্য খাবার সবসময় পাওয়া যায় না। মাঝেমধ্যে সিংহগুলির জন্য নিজেদের অর্থে খাবার কিনতে হয়।
ছবি থেকেই স্পষ্ট যে, পার্কটির দেখভাল ঠিকঠাক হয়নি। এরফলে পশুগুলির স্বাস্থ্যের অবনতি ঘটেছে।
পার্কের এক তত্ত্বাবধায়ক বলেছেন, সিংহগুলি নানা রোগে ভুগছে। ওরা অসুস্থ, মনে হয় অপুষ্টির শিকার।
ইন্টারন্যাল ইউনিয়ন ফর কনজার্ভেশন অফ নেচার আফ্রিকার সিংহকে বিপন্নতার মুখোমুখি প্রজাতি বলে চিহ্নিত করেছে।