কাঠমান্ডু: কয়েক দিনের ব্যবধানেএকই আতঙ্ক ফিরল নেপালের ত্রিভূবন বিমানবন্দরে। আবারও রানওয়ে থেকে ছিটকে গেল বিমান। তবে, এবার কপালজোরে প্রাণে বেঁচে গেলেন ১৩৯ যাত্রী।
ঘটনায় প্রকাশ, গতকাল রাত দশটা নাগাদ টেক-অফ করার সময় কাঠমান্ডু থেকে কুয়ালা লামপুরগামী মালয়েশিয়ার একটি বিমান রানওয়ে থেকে ছিটকে যায়। কপালক্রমে, চাকা আটকে যায় কাদা-মাটিতে। যার জেরে কোনওমতে রক্ষা পান বিমানে থাকা ১৩৯ যাত্রী।
বোয়িং ৭৩৭-৯০০ বিমানটিতে চার ক্রু সদস্য সহ ১৩৯ জন ছিলেন। জানা গিয়েছে, টেক-অফ করার ঠিক আগের মুহূর্তে ককপিটের মধ্যে কোনও সন্দেহজনক বস্তু নজরে আসায় উড়ান বাতিল করার সিদ্ধান্ত নেন পাইলট।
কিন্তু, ততক্ষণে রানওয়েতে বেশ গতি তুলে নেওয়ায়, সঠিকভাবে, বিমানটিকে দাঁড় করাতে পারেননি পাইলট। শেষে বিমানটি রানওয়ে ছাড়িয়ে আরও ৫০ মিটার দূরে গিয়ে ঘাসের জমিতে গিয়ে থামে।
এই ঘটনার জেরে প্রায় ১২-ঘণ্টা সব বিমানের ওঠানামা বন্ধ রাখা হয়। প্রায় এক ডজন আন্তর্জাতিক ফ্লাইট বাতিল করা হয়। পরে, এদিন দুপুর থেকে ফের স্বাভাবিক বিমান চলাচল শুরু হয়।
প্রসঙ্গত, গতমাসেই এই বিমানবন্দরের রানওয়ে থেকে ছিটকে গিয়ে পাশের খেলার মাঠে চলে যায় ঢাকা থেকে কাঠমান্ডুগামী ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের একটি বিমান। বিমানে ৭১ জন যাত্রী ছিলেন। আচমকা আগুন লেগে যায় বিমানে। মৃত্যু হয় ৫১ জনের।
পাইলট মানেননি কাঠমান্ডু এটিসির নির্দেশ; নেপাল বিমান দুর্ঘটনায় উঠে আসছে অবাক করা তথ্য
তাঁদের বেঁচে থাকা অলৌকিক কাণ্ড ছাড়া কিছু নয়, বলছেন নেপাল বিমান দুর্ঘটনার জীবিত যাত্রীরা
তার আগে, ২০১৫ সালে অবতরণ করার সময় রানওয়ে থেকে ছিটকে যায় তুরস্কের একটি বিমান। যার জেরে চারদিন বন্ধ ছিল নেপালের একমাত্র আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর।