কলম্বো: দুই রাষ্ট্রের মধ্যকার বিরোধ নয়, বর্তমানে বিশ্ব-শান্তির সামনে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হল ঘৃণা ও হিংসায় নিমজ্জিত মানসিকতা এবং ভাবধারা।
শ্রীলঙ্কায় গিয়ে ‘হিংসার চক্রের’ সম্পর্কে আন্তর্জাতিক মহলকে সতর্ক করে এভাবেই নাম না করে পাকিস্তানের নাশকতা-মদত দেওয়ার প্রবণতা তুলে ধরলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
সম্প্রতি, ভারতের দক্ষিণে অবস্থিত এই প্রতিবেশী রাষ্ট্রের সফরে গিয়েছেন মোদী। শুক্রবার এক ধর্মীয় অনুষ্ঠানে অংশ নিতে গিয়ে মোদী জানান, ঘৃণার ভাবধারা বহনকারী ও গোটা অঞ্চলে ছড়িয়ে থাকা তাদের প্রবক্তরা কখনই আলোচনা চায় না। তারা শুধু মৃত্যু ও ধ্বংস দেখতে চায়।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমাদের অঞ্চল সন্ত্রাসের উপস্থিতি হল ধ্বংসাত্মক ভাবধারার জলজ্যান্ত উদাহরণ। তিনি যোগ করেন, দুই রাষ্ট্রের মধ্যে অনেকসময় বিরোধ-সংঘর্ষ থাকতেই পারে। প্রয়োজন নয় যে তার জন্য বিশ্ব-শান্তি বিঘ্নিত হবে। মোদীর মতে, শান্তি বিঘ্নিত হওয়ার মূল কারণ হল কিছু মানসিকতা, যা সর্বদা ঘৃণা ও মৃত্যু ছড়ানোর চেষ্টা করে চলেছে।
তিনি জানান, বৌদ্ধ ধর্মে শান্তির বার্তাই হল বিশ্বে সবরকম হিংসার জবাব। বলেন, গৌতম বুদ্ধর বাণী এই অঞ্চল থেকেই বিশ্বে প্রসারিত হয়েছে। এর জন্য আমরা সকলেই ধন্য। তিনি যোগ করেন, বৌদ্ধ ধর্মের বিভিন্ন আদর্শ দেশের সংস্কৃতি, দর্শন ও শাসনের মধ্যে প্রতিফলিত।
এদিনের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট মৈত্রীপাল সিরিসেনা, প্রধানমন্ত্রী রনীল বিক্রমাসিংঘে ও বহু রাজনীতিবিদ, কূটনীতিবিদ ও ধর্মীয় নেতারা। সেখানেই শ্রীলঙ্কার উন্নয়নে সর্বদা পাশে থাকার অঙ্গীকার করেন মোদী। বলেন, ভারত আপনাদের বন্ধু ও সহযোগী থাকবে।