নয়াদিল্লি: রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ পরিস্থিতি নিয়ে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনের (Boris Johnson) সঙ্গে কথা বললেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi)। যুদ্ধের ফলে ইউক্রেনের পরিস্থিতি নিয়েও দুই দেশের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা হয়েছে বলে সূত্রের খবর।


কী বলেছেন মোদি?


প্রধানমন্ত্রীর (PMO) দফতর থেকে প্রকাশিত বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ইউক্রেনের পরিস্থিতি নিয়ে দুই রাষ্ট্রনেতার আলোচনা হয়েছে। আলাপ-আলোচনা এবং কূটনীতির মাধ্যমে শান্তি ফেরানোর কথা বলেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। আন্তর্জাতিক আইনে আস্থা রাখে ভারত, প্রতিটি দেশের সার্বভৌমত্বের প্রতি সম্মান বজায় রাখার বার্তা দিয়েছে ভারত। 


আর কী কী আলোচনা?


শুধু ইউক্রেন (Ukraine) পরিস্থিতি নয়, ভারত (India) ও ব্রিটেনের (Britain) দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক নিয়েও আলোচনা হয়েছে। দুই দেশের মধ্যে বিভিন্ন বিষয়ে সমঝোতা এবং পারস্পরিক সাহায্য নিয়ে আলোচনা হয়েছে। বাণিজ্য, প্রযুক্তি, বিনিয়োগ এবং প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক নিয়ে আলোচনা হয়েছে। জানানো হয়েছে বিবৃতি দিয়ে। প্রধানমন্ত্রীর দফতর থেকে জানানো হয়েছে, দ্বিপাক্ষিক মুক্ত বাণিজ্য নিয়ে আলোচনায় সন্তোষ প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী। ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনকে ভারতে আসার আমন্ত্রণও জানিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।


বারবার যুদ্ধ বন্ধ করা বা আলোচনার মাধ্যমে সমস্যা সমাধানের বার্তা দিলেও রাশিয়ার বিরুদ্ধে কখনও আমেরিকার পথে গিয়ে কড়া অবস্থান নেয়নি ভারত। আমেরিকা ও তার সহযোগী দেশগুলি রাশিয়ার বিরুদ্ধে একের পর এক আর্থিক নিষেধাজ্ঞা চাপালেও সেই রাস্তায় হাঁটেনি ভারত। এমনকি ইউনাইটেড নেশনসে রাশিয়ার বিরুদ্ধে ভোটদান থেকেও বিরত থেকেছে ভারত। সম্প্রতি রাশিয়া থেকে তেলও কিনেছে ভারত সরকার। ভারতের অবস্থান নিয়ে এর মধ্যে কড়াভাবে না হলেও কিছুটা উষ্মাও প্রকাশ করেছে ভারত। যদিও প্রথম থেকেই রাশিয়া-ইউক্রেন দ্বন্দ্বে নিরপেক্ষ অবস্থান বজায় রেখেছে ভারত। কোনওভাবেই কোনওপক্ষে যায়নি, এবং কেন এই অবস্থান তার স্বপক্ষেও যুক্তিপেশ করেছে ভারত সরকার।ইতিমধ্যে প্রায় মাসখানেক হতে চলেছে রাশিয়া-ইউক্রেনের যুদ্ধ শুরু হয়েছে। ইউক্রেনের একের পর এক শহর ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। রাশিয়ার বিরুদ্ধে জনবসতিতে হামলা চালানোর অভিযোগ করেছে ইউক্রেন। যুদ্ধের ফলে ইউক্রেনের বহু নাগরিক ইতিমধ্যে পড়শি দেশগুলিতে শরণার্থী হিসেবে আশ্রয় নিয়েছেন। 
 
আরও পড়ুন: রাশিয়ার সঙ্গে যোগ? দেশের ১১টি রাজনৈতিক দলের উপর নিষেধাজ্ঞা জেলেনস্কির